মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের নাম বদলাতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ইচ্ছা, এই দপ্তরের নতুন নাম হবে ‘যুদ্ধের দপ্তর’। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ জানিয়েছে, এই বিষয়ে ট্রাম্প খুব শীঘ্রই একটি নির্দেশে সই করতে পারেন। নাম বদলের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জিতেছি। আরও অনেক যুদ্ধে জয় পেয়েছি। তবুও আমাদের দপ্তরের নামের আগে প্রতিরক্ষা শব্দটা কেন থাকবে? আমরা শুধু নিজেদের রক্ষা করি না, আমরা জিতি। তাই যুদ্ধের দপ্তর নামটাই আরও শক্তিশালী।’
ট্রাম্প আরও জানান, বর্তমান প্রতিরক্ষা সচিব পিটার হেগসেথ যখন ‘প্রতিরক্ষা দপ্তর’ বলেন, তখন তা তাঁর ভালো লাগে না। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই বলছেন, এটি শুধু একটি নাম বদল নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও সামরিক বার্তা। সম্প্রতি চিনে এক বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ হয়েছে, যেখানে চিন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আমেরিকার কেউ ছিল না।
এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, ‘চিনের বিজয় এবং গৌরব ফেরানোর জন্য অনেক আমেরিকান মারা গিয়েছেন। আমি আশা করি, তাঁদের সাহসিকতা এবং ত্যাগকে যথাযথ সম্মান দেখানো হবে।’ উল্লেখ্য, আমেরিকায় একসময় ‘যুদ্ধের দপ্তর’ নামে একটি দপ্তর ছিল। ১৭৮৯ সালে এটি তৈরি হয়। পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সব সেনাবাহিনীকে একত্রিত করে গঠন করা হয় ‘প্রতিরক্ষা দপ্তর’। এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বাস্তব রূপ পায় কি না এবং তা আমেরিকার নীতিতে কী পরিবর্তন আনে।