মঙ্গলবার নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন। একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বিপত্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি। নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরে পা রাখতেই আচমকা থেকে গেল চলমান সিঁড়িটি।
প্রথমে বিষয়টি মজার ছলে নিলেও পরে বেজায় চটে যান ট্রাম্প। কয়েক মিনিট পরে ফের অঘটন ঘটে। সাধারণ পরিষদে বক্তৃতা শুরু করতেই তাঁর টেলিপ্রম্পটারটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর পরেই নাকি চটে যান তিনি। নিছক কাকতালীয় হিসেবে দেখছে না হোয়াইট হাউসও। বিষয়টির তদন্তের জন্য আর্জি জানানো হয়েছে।
এদিকে হুঁশিয়ারির সুরে ট্রাম্প বলেন, ‘যিনি এই টেলিপ্রম্পটারটি নিয়ন্ত্রণ করছেন, তিনি বড় বিপদে পড়বেন।’ পর পর দু’টি ঘটনাকে রাষ্ট্রসংঘের দোষ বলেও আখ্যা দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি সাতটা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছি। প্রত্যেক দেশের নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। অথচ রাষ্ট্রসংঘের কাছ থেকে কখনও একটা ফোনও পাইনি। বরং এদের থেকে যা পেয়েছি, তা হল একটা খারাপ এসক্যালেটর, যা উপরে ওঠার সময় মাঝপথে থেমে গিয়েছে! ফার্স্ট লেডি সিঁড়ি থেকে পড়েও যেতে পারতেন। কিন্তু কপালক্রমে তিনি ভালো আছেন।’
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটা কোনও সাধারণ ত্রুটি না-ও হতে পারে। যদি রাষ্ট্রসংঘের কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করে থাকেন, তা হলে অবিলম্বে তাঁকে বরখাস্ত করা উচিত। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হোক।’
চলন্ত সিঁড়ি কেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, তারা সম্ভবত রহস্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছে। তাদের ধারণা ট্রাম্পের ভিডিওগ্রাফারের কারণে এমনটি হয়েছে। তিনি সম্ভবত ভুল করে সেফটি ফাংশন সচল করে ফেলেছিলেন।
রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ওই চলন্ত সিঁড়ির কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, সিঁড়িটির উপরের অংশের কম্ব স্টেপে যুক্ত থাকা নিরাপত্তাব্যবস্থা সচল হয়ে গিয়েছিল। আর এতেই সিঁড়িটি বন্ধ হয়ে যায়।