রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ ট্রাম্পের

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর মতে, দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চালাতে চালাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তবে যদি পুতিন শান্তিচুক্তির পথে না হাঁটেন, তাহলে তাঁকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।

গত ১৫ আগস্ট আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেখানে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের উল্লেখ করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। ইউক্রেনে যুদ্ধ থামানোর বিষয়েও আশাবাদী বক্তব্য শোনা যায়। এরপর ১৮ আগস্ট রাতে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠকের শুরুতেই তিনি আশ্বাস দেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় ইউক্রেনের পাশে থাকবে।

বৈঠক শেষে ট্রাম্প এক দীর্ঘ পোস্টে জানান, আলোচনা সফল হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলার ফ্রেডরিক মার্জ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রাট ও ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন। ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় দেশগুলির ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়।


ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি চেষ্টা করছেন পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠক আয়োজন করতে। জার্মান চ্যান্সেলার মার্জের দাবি, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই সেই বৈঠক হতে পারে। ট্রাম্পের বক্তব্য, “আমার মনে হয় যুদ্ধ করতে করতে পুতিন ক্লান্ত। সবাই ক্লান্ত। যদি যুদ্ধ বন্ধ করতে হয়, তবে দুই দেশকেই কিছুটা নমনীয় হতে হবে।”

তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র সেনা পাঠাবে না। জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন-সহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ সেনা পাঠাতে চাইলে পাঠাতে পারে, কিন্তু আমেরিকা সরাসরি সামরিকভাবে যুক্ত হবে না।