শান্তিচুক্তির মাঝেই ইজরায়েল এবং হামাস একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সতর্কবার্তা দিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করলে হামাসকে সমূলে বিনাশ করা হবে।’ এদিন হামাসকে ‘অত্যন্ত হিংস্র’ একটি গোষ্ঠী বলেও নিশানা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে হামাস প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। যার মাধ্যমে ওরা শুধরে যাবে এবং ভালো আচরণ করবে ভেবেছিলাম। তা যদি না হয় সেক্ষেত্রে আমরা ভিতরে ঢুকব এবং প্রয়োজনে ওদের ধ্বংস করে দেব।‘ শুধু তাই নয় হামাসের সমালোচনা করে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ওরা বরাবরই অত্যন্ত হিংস্র। কিন্তু এখন ওদের পিছনে ইরানের সমর্থন নেই। শুধরে না-গেলে ওদের নির্মূল করে দেওয়া হবে।‘
তবে এ ক্ষেত্রে আমেরিকার সামরিক বাহিনীকে পাঠানো হবে না, তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যদি ইজরায়েলকে বলি, তা হলে ওরা দু’মিনিটের মধ্যে চলে যাবে। আমি ইজরায়েলকে বলতেই পারি, যাও গিয়ে বিষয়টা দেখে নাও। তবে আমি এখনও তা বলিনি। আমি হামাসক একটু সুযোগ দিতে চাই।‘
রবিবার মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নতুন করে হামলার ছক কষছে হামাস। এই রিপোর্ট পাওয়ার পর নতুন করে গাজায় বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। রাফা এলাকায় এই হামলার জেরে কমপক্ষে শতাধিক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও হামাস জানিয়েছে, তারা এমন কোনও হামলার পরিকল্পনা করেনি। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ডামাডোলের মাঝেই এবার কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গাজায় শান্তি সমঝোতা ঠিকঠাক কার্যকর হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য সোমবারই পশ্চিম এশিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে আমেরিকার এক প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার ইজরায়েল গেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ২ জন আধিকারিক। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর। এ অবস্থায় হামাসের উদ্দেশে ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।