ভারতে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের দরকার ছিল না : শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (File Photo: IANS)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশােধনের দরকার ছিল না। গত সপ্তাহে আবু ধাবি সফরকালে গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বুঝি না ভারত সরকার কেন এই কাজটি করলাে। এটা অবশ্য তাদের অভ্যন্তরীন বিষয়। ভারত সরকারও সবসময় বলে আসছে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিও ব্যক্তিগতভাবে আমাকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। আজ বাংলাদেশে গণমাধ্যমে খবরটি এসেছে।

ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতে পাড়ি দেওয়া কেউ বাংলাদেশে ফিরে এসেছে এমন নজির নেই। কিন্তু ভারতে নাগরিকরা এই আইন সংশােধন হওয়ার কারণে অনেকে সমস্যার মধ্যে রয়েছে। এছাড়া রােহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মায়ানমার থেকেই রােহিঙ্গা সংকটের শুরু। তাদের কাছেই এর সমাধান রয়েছে। কিন্তু মায়ানমার এখন পর্যন্ত রােহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

এখন পর্যন্ত দুবার প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনও রােহিঙ্গা স্বেচ্ছায় সেখানে যেতে চায়নি। ফলে আমাদের উদ্যোগে ব্যর্থ হয়েছে মায়ানমার আসলে প্রত্যাবাসনের উপযােগী পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সমস্যা থাকলে আমাদের দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। এসময় রােহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বাংলাদেশ কয়লা বিদ্যুতের দিকে মনােয়ােজ বাড়ালেও এক্ষেত্রে পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে সাক্ষাতকারে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ এতদিন গ্যাসের উপর নির্ভর করত। কিন্তু গ্যাস ফুরিয়ে আসায় উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে এখন কয়লাসহ অন্য উৎসের দিকে নজর দিতে হচ্ছে। এছাড়া প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০২ সালে বাংলাদেশে একবার পলিথিন নিষিদ্ধ করাও হয়েছিলাে। এখনও উপকূল অঞ্চলে হােটেল, রেস্টুরেন্টগুলােতে প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখনও শতভাগ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে সফল হয়নি। মূলত কম টাকায় বিকল্প তৈরি করা যায়নি এখনও। তবে পরিস্থিতি পাল্টেছে পাট দিয়ে ব্যাগ তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। আমি এর নাম দিয়েছে সােনালি ব্যাগ। আমাদের পাট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন এটা কমদামে বাজারজাত করা হয়।