শনিবার দুপুর ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়

সুদানের আবেইতে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি ঘাঁটিতে শনিবার ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশের ছয় শান্তিরক্ষীর। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন অন্তত ৮ জন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে একথা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সরব হয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস।
 জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় ৬ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে এবং কমপক্ষে ৮ জন জখম হয়েছেন। রবিবার দুপুরে মৃত ও জখমদের পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছে বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর)। নিহতেরা হলেন কর্পোরাল মহম্মদ মাসুদ রানা, শামীম রেজা, সৈনিক মহম্মদ মমিনুল ইসলাম, শান্ত মণ্ডল, মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং কর্মচারী মহম্মদ সবুজ মিয়া।
গত নভেম্বরের শুরুতে কাদুগলি শহরে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়। শহরটি প্রায় দেড় বছর ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে আরএসএফ। কোরদোফান একটি বিস্তৃত কৃষিভিত্তিক অঞ্চল, যা তিনটি রাজ্যে বিভক্ত। এটি পশ্চিমে আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত দারফুর এবং উত্তর, পূর্বে সেনাবাহিনী-নিয়ন্ত্রিত এলাকার মাঝখানে অবস্থিত।
সেনা স্থানান্তর ও যোগাযোগ রক্ষার জন্য কাদুগলির অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আরএসএফ দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, সুদানের মধ্যাঞ্চলের চারপাশে সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা ভেদ করার লক্ষ্যেই আরএসএফ এই হামলা চালিয়েছে, যাতে খার্তুম পুনর্দখলের পথ প্রশস্ত করা যায়।
শনিবারের এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গুতেরেস সুদানের কাদুগলিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নৃশংস ড্রোন হামলার কড়া নিন্দা জানান। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এটি যুদ্ধাপরাধ হিসাবে গণ্য হতে পারে। দোষীদের শাস্তি হবেই বলে জানিয়েছেন গুতেরেস।