ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে থামল তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষ

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

আরও এক আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্বে মধ্যস্থতা করে সংঘর্ষ থামানোর দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি তিন দিন ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ – তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া। মার্কিন হস্তক্ষেপে অবশেষে দুই দেশই সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে দাবি ট্রাম্পের। ট্রাম্প নিজে এখন স্কটল্যান্ডে। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি জানিয়েছেন, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইয়ের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেছেন।

শনিবার আমেরিকার স্থানীয় সময় একটি সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খুব ভালো কথা হয়েছে। তাঁকে জানালাম, তাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার আলোচনা হয়েছে। দুই দেশই শান্তির পথে হাঁটতে সম্মত হয়েছে।’ ট্রাম্পের আরও দাবি, আমেরিকা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, যদি যুদ্ধ বন্ধ না হয়, তবে কোনওরকম বাণিজ্যচুক্তিতে তারা যাবে না। সেই হুঁশিয়ারির পরেই দুই দেশ সংঘর্ষ থামাতে রাজি হয়েছে।

তাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইও সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি সংঘর্ষবিরতির বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত। তবে তিনি চান, কম্বোডিয়াও যেন আন্তরিকতা দেখায়। ট্রাম্পের মাধ্যমে এই বার্তা কম্বোডিয়ার কাছে পৌঁছবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘এই যুদ্ধ বহু প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষের সময়ের কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে। সেবারও আমরাই মধ্যস্থতা করে যুদ্ধ থামিয়েছিলাম।’


প্রসঙ্গত, এপ্রিলে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ভারতের সেনা অভিযান ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তানি ঘাঁটিতে হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখনও ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর মধ্যস্থতায় দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হয়েছে। যদিও নয়াদিল্লি বরাবরই সেই দাবি অস্বীকার করেছে।

এদিকে, গত তিন দিনে তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে চলা সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ঘরছাড়া হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্ত নিয়ে টানাপড়েন রয়েছে। তবে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।