নেপাল আজ এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের কাছে শুক্রবার রাত সওয়া ৯টায় শীতল নিবাসে শপথ নেন তিনি।
নেপালের রাজনীতিতে এই ঘটনাকে যুগান্তকারী মোড় বলা হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে প্রথম মহিলা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হওয়ার পরে ফের আর এক শীর্ষ পদে আসীন হলেন ৭২ বছরের সুশীলা। দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলনের জেরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ইস্তফার পর ছাত্র-যুব নেতৃত্ব তাঁর নাম অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করে। প্রথমে আন্দোলনকারীদের তরফে কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ ও ইঞ্জিনিয়ার কুল মান ঘিসিং-এর নাম ঘুরলেও শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটির মাধ্যমে সুশীলার নামই চূড়ান্ত হয়। তাঁর পক্ষে জমা পড়ে ২,৫০০-রও বেশি লিখিত সমর্থনপত্র।
আইন ও বিচারব্যবস্থায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সুশীলা ২০০৬ সালে সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে তিনি নিযুক্ত হন। পরে ২০১৬ সালে তিনি প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হন। তাঁর আত্মজীবনী ‘ন্যায়’ এবং উপন্যাস ‘কারা’ দেশে বেশ আলোচিত।
রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়া সুশীলার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে দেশকে স্থিতিশীল পথে ফেরানো। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ শুধু নেপালের রাজনীতিতে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসেও গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত তৈরি করল।