শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক, গ্রিস, মৃত বেড়ে ২২, আহত ৭০০

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক, গ্রিস। (Photo by Nikos Hadjiiakovou/Xinhua)

মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা এখনও অজানা। সময় যত গড়াচ্ছে তুরস্কের পশ্চিম উপকূল ও গ্রিসের একাংশের পরিস্থিতি আরও ঘােরালাে হয়ে উঠছে। শুক্রবার রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে শনিবার সকাল পর্যন্ত ২২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.০। রাত পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪। আহতের সংখ্যা ছিল ৪০০। এখনও পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমন শক্তিশালী ভূমিকম্পের দৃশ্য আগে কখনও দেখেনি তুরস্ক ও গ্রিস। ভূমিকম্পের তীব্রতায় আজিয়ান সাগরের জলস্তর বেড়ে গিয়ে ছােটখাটো সুনামির আকার নিয়েছে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলের বাসিন্দা। প্রাণ গিয়েছে গ্রিসের সামােস দ্বীপের কয়েকজনেরও। 

মার্কিন ভূতত্ত্বের হিসাব বলছে, সামােসের লিওন কার্লোভাসিওন শহরের ১৪ কিলােমিটার দূরে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র হলেও ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলােমিটার গভীরে ছিল এটির কেন্দ্রস্থল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের রিসর্ট শহর ইজমিরে। সেখানে জোরালাে কম্পনের কারণে অন্তত ২০ টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে হেলিকপ্টারও। এর মধ্যে সেসমি ও সেফেরিহিসারিনের রাস্তা জলের তলায় চলে গিয়েছে। সেই সব ছবি এখন সােশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। 


প্রসঙ্গত তুরস্ক ও গ্রিসে মূল ভূমিকম্পের পর একাধিকবার আফটারশকের খবর মিলেছে। ১৯৬ বার আফটারশকের পর তীব্র আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। স্থানীয়দের ইতিমধ্যে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে আফ্রিকান প্লেট ইওরােপীয় প্লেটের দিকে বছরে ৮ থেকে ১০ মিলিমিটার করে সরে আসছে। এই কারণে বরাবরই এই এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ হয়ে উঠছে। বর্তমানে টেথিস সাগরের অন্যতম অবশিষ্টাংশ ভূমধ্যসাগর। এই অঞ্চল যেখানে যেখানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ তার মধ্যে রয়েছে গ্রিসের দক্ষিণ ভাগ। তুরস্কের পশ্চিম ভাগ।