লাহোরে পর পর বিস্ফোরণ, পাকিস্তানে বন্ধ তিনটি বিমানবন্দর

সাতসকালে বিস্ফোরণ পাকিস্তানে। পর পর বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল লাহোর। কী কারণে এই বিস্ফোরণ, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। পাকিস্তান পুলিশের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ৫-৬ ফুটের একটি ড্রোনের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হতে পারে। ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার সকালে লাহারের ওয়ালটন বিমানবন্দর সংলগ্ন গোপালনগর এবং নাসিরাবাদ এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দগুলি শোনা যায়। দূর থেকে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল। লাহোরের সেনাঘাঁটির কাছেই বিস্ফোরণ হয়। ইতিমধ্যেই করাচি, সিয়ালকোট এবং লাহোর বিমানবন্দরে বিমান চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। যদিও বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণ বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করে দেয় স্থানীয়রা। গোটা এলাকা ঢেকে যায় ধোঁয়ায়। ভারত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। স্থানীয় পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রেই খবর, পাকিস্তানি বায়ুসেনা মহড়া চালাচ্ছিল। সেই সময়ই বিস্ফোরণ হয়। ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লাহোর ওল্ড বিমানবন্দর।


প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, প্রথমে সাইরেনের শব্দ শোনা যায়। তারপরই বিস্ফোরণ হয়। অনেকে আবার এই বিস্ফোরণের পিছনে বালোচ আর্মির হাত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে। পাকিস্তানের অন্দরেই বিদ্রোহ শুরু করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। ট্রেন হাইজ্যাক থেকে শুরু করে পাক সেনার কনভয়ে হামলা, একের পর এক আঘাত হানছে তারা। এই হামলার পিছনেও তাদের হাত থাকতে পারে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানে ঢুকে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে এসেছে ভারত। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। পহেলগাম জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতেই এই জবাব দিয়েছে ভারত।