করোনা ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ২০২২ পর্যন্ত

প্রতিকি ছবি (Photo by Michal Cizek / AFP)

শুধুমাত্র একটানা লকডাউন নয় করোনাকে রুখতে হলে মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ২০২২ পর্যন্ত, না হলে ভেঙে পড়তে পারে স্বাস্থ্যব্যবস্থা, এমনটাই জানাল হার্ভার্ডের গবেষকরা। করোনার গতিপ্রকৃতি বুঝতে সমীক্ষা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

করোনায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরই হার্ভার্ডের গবেষকরা কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানান, কোভিড ১৯ মূলত ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে গতি প্রকৃতি বদলাতে পারে, ঠিক যেমনভাবে শীতকাল পড়ার সময়ে সাধারণ সর্দি-জ্বরের প্রকোপ বাড়ে।

সামাজিক দূরত্ব নিয়ে গবেষকদের মত কি? সাংবাদিকদের দেওয়া একটি টেলিফোন সাক্ষাৎকারে গবেষকদলের তরফে স্টিফেন কিসলার জানান, লকডাউনের মধ্যেই গবেষণাকে আরও দ্রুত করতে হবে যাতে প্রতিষেধক আবিষ্কার করা যায়, যদিও লকডাউনের মধ্যে করোনা পরীক্ষা বাড়ানো না গেলে সমস্যা বাড়বে।


গবেষণায় সহকারী মার্ক লিপসিচ জানিয়েছেন যে, সংক্রমণের ফলে যেমন সমস্যা বাড়ছে, তেমনই মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতাও অভিযোজিত হচ্ছে যা গবেষণায় নতুন মোড় আনতে পারে। গবেষকরা জানিয়েছেন, লকডাউনের ফলে হাসপাতালগুলি আরও খারাপ পরিস্থিতির জন্য নিজেদের তৈরি করে নেওয়ার সময় পাচ্ছে, যা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।

লকডাউনের ফলে কি কমছে প্রতিরোধ ক্ষমতা? গবেষক দলের মতে, লকডাউনের জেরে বন্দি প্রত্যেকে। ফলত করোনা সংক্রমণে একই গোষ্ঠীর ভিন্ন মানুষের শরীরে কিভাবে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে, তা নিয়ে গবেষণা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তারা আরও জানিয়েছেন যে, পূর্বে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীর কিভাবে ও কতদিন ধরে করোনা মোকাবিলায় সাড়া দিয়েছিল তা জানা যাচ্ছে না কারণ লকডাউনে বন্দি সকলেই।

করোনা রুখতে অ্যান্টিবডি নিয়ে পরীক্ষা জোরকদমে। বর্তমানে করোনা যুদ্ধে সবচেয়ে আধুনিকতম গবেষণা হল অ্যান্টিবডি সংক্রান্ত। করোনাভাইরাসের আক্রমণে সাধারণ সর্দি-জ্বর হলে, বছর ধরে শ্বেতকণিকারা কিভাবে কাজ করে সে বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে।

গবেষকদলের মতে, আগের মতো মুছে না গিয়ে এইবারে করোনাভাইরাস পাকাপাকিভাবে থাকতে এসেছে এবং এর মূল কারণ হচ্ছে, ভাইরাসের প্রাথমিক আক্রমণ হচ্ছে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরে, ফলত সহজেই কাবু হয়ে পড়ছে ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের মতো কঠিন রোগাক্রান্তরা। উক্ত গবেষণায় চিন্তা বেড়েছে বিশ্বের গবেষকদের।