সিরিয়ার গির্জায় আত্মঘাতী হামলা, হত কমপক্ষে ২০

সিরিয়ার এক গির্জায় আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি। সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস শহরের একটি গির্জায় রবিবার এই আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই হামলায় দায় নেয়নি। দামাস্কাসের সবচেয়ে সুরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত চার্চে এই হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সব মহল বিস্মিত। গত ডিসেম্বরে সিরিয়ায় পালাবদলের পর এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।

রবিবার দামাস্কাস শহরের মার এলায়াস গির্জার ভিতরে প্রার্থনা চলছিল। সেই সময় এক ব্যক্তি গির্জার ভিতরে প্রবেশ করে আচমকা গুলি চালাতে শুরু করেন। তারপর তিনি নিজেকে গুলি করেন। হামলাকারীর শরীরে বাঁধা ছিল বোমা। সেই বোমা থেকেই গির্জার ভিতরে বিস্ফোরণ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় নিরাপত্তা কর্মী এবং পুলিশ। একে একে সকলকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আত্মঘাতী হামলাকারী ইসলামিক স্টেটের সদস্য ছিলেন। তিনি গির্জায় প্রবেশ করে, স্বয়ংক্রিয় বন্দুক থেকে গুলি চালান এবং তার পর তার শরীরে বাঁধা বোমা বিস্ফোরণ হয়।’ সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সেন্ট ইলিয়াস নামে চার্চে বিস্ফোরণে আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

লরেন্স মামারি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘হামলাকারীর বুলেট শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাঁকে কব্জা করার চেষ্টা হয়। তার আগেই অবশ্য বিস্ফোরণে নিজেকে শেষ করে দেন।’ সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী হামাজ মোস্তাফা হামলার নিন্দা করে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। অপরাধীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত সাজা দেওয়া হবে।’