‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজ়েশন’ (এসসিও) সামিটে উঠল পহেলগাম হত্যাকান্ডের প্রসঙ্গ। ‘এসসিও’ পহেলগাম জঙ্গি আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। পাকিস্তানের নাম সরাসরি না নিলেও জঙ্গি আক্রমণের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবি উঠেছে এই সম্মেলনে।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামের জঙ্গি আক্রমণে পাকিস্তানের মদত আছে বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠেছে। চিনের তিয়ানজিনে এসসিও সামিটে অংশগ্রহণ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবার পহেলগাম প্রসঙ্গ তুললেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, কোনো কোনো দেশ সন্ত্রাসবাদকে মদত জোগাচ্ছে। এসসিও-র যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ‘এসসিও’-র সদস্য দেশগুলি ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগামে ঘটে যাওয়া জঙ্গি আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছে। সদস্য দেশগুলি এই হামলায় মৃত এবং আহত পরিবারগুলির প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। এই আক্রমণের পরিকল্পনাকারী, অপরাধী এবং মদতদাতাদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত।
এসসিও জোটের সদস্যরাষ্ট্রগুলির মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানও। এসসিও সামিটে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। নরেন্দ্র মোদী শাহবাজ শরিফের সামনেই সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে অনেক কথা বলেছেন পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে। সম্প্রতি তিয়ানজিনে এসসিওর সদস্যরাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বার্তা দেন। সেই সময় ‘এসসিও’ বৈঠকের যৌথ বিবৃতি পেশ করা সম্ভব হয়নি। ভারত জানিয়েছিল, যৌথ বিবৃতিতে যাতে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট দেশ তা মানতে না চাওয়ায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে বিবৃতি চূড়ান্ত করা যায়নি।
সোমবার এসসিও-র বৈঠকে পহেলগাম হত্যাকান্ডের ব্যাপারে মোদী বলেন, ‘পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ তো শুধু ভারতের আত্মাকে আঘাত করা নয়, বরং এই হামলা এমন একটি দেশের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া, যে দেশ মানবতার উপর বিশ্বাস রাখে। আমাদের এটা নিশ্চিত করা দরকার যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে কোনোরকম দ্বিচারিতা যেন সহ্য না করা হয়।’
এসসিও বৈঠকের শেষে, যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, সদস্যরাষ্ট্রগুলি বিচ্ছিন্নতাবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াই করতে বদ্ধপরিকর। এছাড়াও, চরমপন্থী এবং সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর বিরুদ্ধেও জোর দিচ্ছে
সদস্য দেশগুলি।