গোপালগঞ্জে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন বাংলাদেশে

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা চলাকালীন সেখানে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। একদল মানুষ মঞ্চ ভাঙচুর করেন, অনেকে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী, কাঁদানে গ্যাস, গুলি, গ্রেনেড, শেল ব্যবহার করে। এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ৮জনের। আরও বহু মানুষ গুলির ঘায়ে জখম হন। মোট আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০জন। বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, গোপালগঞ্জে গন্ডগোল যে হবে সেই খবর আগে থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। আগে থেকে খবর পাওয়া সত্ত্বেও কেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়নি এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাংলাদেশের মানুষ।

বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম, কিছু প্রত্যক্ষদর্শী এবং কিছু সাংবাদিকের সূত্রে খবর যে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এবং নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের নেতা-সমর্থকেরা পরিকল্পনা করেছিলেন যে গোপালগঞ্জে এনসিপি-র কর্মসূচীতে তাঁরা বাধা দেবেন। এনসিপির নেতাদেরকে প্রহার করার এবং তাঁদের আটক করে রাখার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। এই খবর জানার পরও সেনাবাহিনী দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আটকাতে কেন সক্ষম হল না, কেন এই গন্ডগোল আটকানোর জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হল না, এই নিয়ে প্রশ উঠে এসেছে বাংলাদেশের মানুষের মনে।

বাংলাদেশি একটি সংবাদপত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, কিছু পুলিশকর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, বাইরে থেকে লোকজন এনে শহরের নানান জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছিল। আগে প্রচার করা হয়েছিল যে, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধির উপর হামলা করা হবে এবং গোপালগঞ্জ জেলার নাম পালটে দেওয়া হবে। এই প্রচার শুনে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বাংলাদেশের ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে গোপালগঞ্জে যে হামলা হতে পারে এটা বোঝার জন্য গোপন খবর বা তথ্যের প্রয়োজন পড়ে না। মুজিব এবং শেখ হাসিনার জেলা গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের শক্তি সবসময়ই বেশি। শেখ হাসিনার সরকার পড়ে যাওয়ার পরও গোপালগঞ্জের অনেক মানুষ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালায়। পুলিশকর্মীদের মধ্যেও অনেকের মতে গোপালগঞ্জ নিয়ে আরও সতর্ক থাকা দরকার ছিল।


বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান যে পুলিশের কাছে গোয়েন্দার তরফ থেকে তথ্য রয়েছে যে বাইরে থেকে এসে কিছু দুষ্কৃতি এখনও গোপালগঞ্জে রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।