ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার দু’টি বৃহত্তম তেল শোধনকারী সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে। ট্রাম্প দুটি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর পুতিন বলেন যে, ইউক্রেন যদি মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়াকে আক্রমণ করে তাহলে আমেরিকাকে তার ফল ভোগ করতে হবে। ট্রাম্পও পুতিনের হুমকির পালটা জবাব দিয়েছেন।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সঙ্গে অর্থহীন সংঘর্ষ বন্ধ করতে পুতিন রাজি নন। এই কারণেই দু’টি রুশ তেলশোধনকারী সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হল, যারা ক্রেমলিনকে যুদ্ধের অর্থ জুগিয়ে চলেছে। এবার যুদ্ধ বন্ধ করার সময় এসেছে।’ ট্রাম্পের অভিযোগ, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তির ব্যাপারে একেবারেই আগ্রহী নন।
তিনি বলেছেন ‘যখনই আমি ভ্লাদিমিরের সঙ্গে কথা বলি, আমার সঙ্গে ভালো ভাবেই কথা বলেন তিনি। অথচ কোনো আলোচনা ফলপ্রসূ হয় না। ওঁর সঙ্গে কথা বলে লাভ নেই।’ বুধবার ওভাল অফিসে ন্যাটোর প্রধান মার্ক রাটের সঙ্গে বৈঠকেও ট্রাম্প বলেন যে, তাঁর মনে হয় এবার আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ এবং হুঁশিয়ারিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন পুতিন। তিনি জানিয়েছেন, ‘রসনেফট’ এবং ‘লুক অয়েল’-এই দু’টি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে আমেরিকাকেও। পুতিন আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যণ, ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া মার্কিন টোমাহ ব্যবহার করে যদি ইউক্রেন রাশিয়ার উপর আক্রমণ চালায় তাহলে সেই পদক্ষেপের ফল ভালো হবে না।
পুতিনের এই বক্তব্য শুনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘পুতিন যে এভাবে ভাবছেন তা জেনে ভালো লাগল। আগামী ৬ মাসের মধ্যে দেখে নেব কীভাবে কী হয়।‘ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আবার দুই রুশ সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞায় খুশি হয়েছেন। শোনা যাচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞার জেরে ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কেনা কমিয়ে দিতে পারে।