দেশের সঙ্কট মিটছে না, এর জন্য দায়ী বিক্ষোভকারীরাই: বিক্রমসিঙ্ঘে

Protesters, enraged crowd of people silhouette vector, angry mob

এখনও বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে শ্রীলঙ্কা। সেই বিক্ষোভের আগুন থেকে রাখা পাননি দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি। জনগণের ক্ষোভের আগুনে  পুড়ে খাক হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ভিটে।

প্রাণভয়ে দেশছাড়া প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। বিক্ষোভের জেরে আগেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে।

প্রেসিডেন্ট ভবন পর্যন্ত জনগণের কব্জায়। যদিও এই উত্তাল সময়েই দেশের প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেন রণিল বিক্রমসিঙ্ঘে। কিন্তু নতুন প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমসিঙ্ঘেকে নিয়েও খুশি নয় জনতা।


তাঁর বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। একটি সভায় ‘গো হোম’ বলে প্রেসিডেন্টকে কালো পতাকাও দেখানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, রবিবার শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে একটি সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন নতুন প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমসিঙ্ঘে  । তাঁর দাবি, সেখানে বিক্ষোভকারীরা চরম অশান্তি শুরু করে।

তাঁকে ‘গো হোম’ বলে ফিরে যেতে বলা হয়। হুমকিও দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমার তো বাড়িই নেই। বিক্ষোভকারীরাই পুড়িয়ে দিয়েছে।

তাহলে এখন কোথায় যাব। আমাকে যদি ফিরে যেতেই বলা হয় তাহলে বিক্ষোভকারীরাই বাড়ি বানিয়ে দিক।’

প্রেসিডেন্ট বলেন, শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট চরমে পৌঁছে গেছে। বিক্ষোভের জেরে সরকারি কাজে বাধা পড়ছে। এখন দেশের অর্থনীতিকে টেনে তোলাই লক্ষ্য।

তার জন্য আন্তর্জাতিক কিছু চুক্তি করতে হবে। আন্তর্জাতিক মনিটারি ফান্ডের সঙ্গে চুক্তি পিছিয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র এই বিক্ষোভের জেরেই।

অথচ দেশকে আবার চাঙ্গা করতে এই অর্থসাহায্যের একান্ত প্রয়োজন। বিক্ষোভকারীরা এবার না থামলে দেশকে আর বাঁচানো সম্ভব হবে না।

গত শুক্রবার থেকে দ্বীপরাষ্ট্রে বিক্ষোভ নতুন চেহারা নিয়েছে। রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের প্রাসাদে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে দেদার লুঠপাট চলে। এদিকে নতুন প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে উন্মত্ত জনতা।

প্রেসিডেন্টের বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। এরপরেই বিক্ষোভকারীদের থেমে যেতে অনুরোধ করেন নয়া প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমসিঙ্ঘে।

তাঁর বক্তব্য, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে চরম জ্বালানি ও খাদ্যসঙ্কটের মধ্যেও বিক্ষোভকারীরা দেশজুড়ে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তার জন্যই আন্তর্জাতিক চুক্তি পিছিয়ে গেছে।

এ জন্যই দেশের সঙ্কট মিটছে না। এর জন্য দায়ী বিক্ষোভকারীরাই।