পাকিস্তান সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের ডিজি এবং লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে মহিলা সাংবাদিক আবসা কোমলকে প্রকাশ্যে চোখ মারছেন বলে দাবি উঠেছে। যার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা হয়নি, তবুও তা ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে পাকিস্তানের সংবাদমহলে।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যখন সাংবাদিক আবসা কোমলের প্রশ্নের উত্তরে লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধরি তাঁর দিকে তাকিয়ে চোখ মারেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কোমল পাকিস্তানের জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সেনাকর্তার করা বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। তাঁর প্রশ্ন শেষ হতেই জেনারেল আহমেদ স্মিত হেসে সাংবাদিকের দিকে তাকিয়ে চোখ মেরে বসেন বলে দাবি।
ভিডিওতে কথোপকথনও প্রকাশ্যে এসেছে। কোমল প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার বলা তিনটি কথা যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ, এই যে ইমরানকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ’, ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ এবং ‘দিল্লির হাতের পুতুল’ বলা হচ্ছে, এটা কি অতীতের থেকে আলাদা, নাকি ভবিষ্যতে অন্য কিছু আশা করা উচিত?’ তাঁর কথা শেষ হতে না হতেই আহমেদ ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘আর চতুর্থ পয়েন্টও যোগ করুন, উনি একজন মানসিক রোগী।’
সাংবাদিক বৈঠকে আহমেদ আরও দাবি করেন, ২০২৩ সালের ৯ মে সেনাঘাঁটিতে হামলার নেপথ্যে ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ ছিলেন ইমরান খান। যদিও ইমরান ও তাঁর দল এই অভিযোগ ধারাবাহিকভাবে অস্বীকার করে এসেছে। ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বহু নেটাগরিক প্রশ্ন তুলেছেন, একজন পেশাদার সেনাকর্তা বিশেষত উর্দি পরা অবস্থায় কীভাবে এমন আচরণ করতে পারেন। কেউ কেউ এই ঘটনাকে সংবাদমাধ্যমের প্রতি অসম্মান এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ বলে সমালোচনা করছেন।