পাকিস্তানকে সমর্থন! ধন্যবাদ জানাতে আমিরশাহিতে শাহবাজ

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলাকালীন পাকিস্তানের অবস্থানকে সমর্থন করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, এমনটাই দাবি করে থাকে শাহবাজ প্রশাসন। সেই কারণে ওই দেশের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাতে বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। দু’দিনের সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার এবং কয়েকজন মন্ত্রী।

পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নেহানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শাহবাজ। আমিরশাহির আরও কয়েক জন প্রথম সারির নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির জন্যই এই সফর বলে ইসলামাবাদের দাবি।

সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক স্তরে বোঝাপড়া জোরদার করতে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে ভারত। সেই দলের দেশের বিভিন্ন পার্টির সাংসদদের পাশাপাশি কূটনীতিবিদ ও আমলারাও রয়েছেন। এর পাল্টা শাহবাজও বন্ধুরাষ্ট্রগুলিতে সফর করছেন। এর আগে তুরস্ক, আজারবাইজান সহ চারটি দেশে ঘুরে এসেছেন শাহবাজ। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের সময় পাকিস্তানকে ‘সমর্থন’ করার অভিযোগ ওঠে তুরস্ক, আজারবাইজানের বিরুদ্ধে।


এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেশ মজবুত। ফলে শাহবাজের এই সফরের দিকে তাকিয়ে ছিল ভারতও। ওয়াকিবহল মহলের মতে, আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্যই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি গিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘মহম্মদ বিন জায়েদকে অনুরোধ করেছি, ভারতের সঙ্গে কথা কথা বলার জন্য। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ পাকিস্তানের ভাই। তাঁর সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও অত্যন্ত ভালো। তিনি দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে আসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা ভারতীয়দের সঙ্গে সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনায় বসব।’

ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধের কথা স্মরণ করে শরিফ বলেন, ‘আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছি এবং আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘ভারতীয় নেতৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলতে চাই, আসুন আমরা আলোচনার টেবিলে বসে গুরুতর সমস্যা, যেমন কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তরিক আলোচনা করি। ভারতকে সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। বিশ্বকে বার্তা দিতে হবে যে তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত।’