রাষ্ট্রসঙ্ঘে আফগানিস্তানের উপর পাক হামলার তীব্র নিন্দা জানাল ভারত। মহিলা এবং শিশুদের উপর হামলা যুদ্ধাপরাধের সমান বলে জানায় ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলেও এদিন নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় ভারত। এছাড়া পাক সীমান্ত আফগানদের জন্য বন্ধ করা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পর্বতনেনি হরিশ বলেন, ‘রাষ্ট্রসংঘের সনদ যেন পুরোপুরিভাবে মেনে চলা হয়। বিশেষত নিরীহ নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়টি দেখা হয়। যে দেশটা বাধাবিপত্তির পর নিজেদের গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, সেখানে হামলা চালানো যুদ্ধপরাধের সমান, রাষ্ট্রসংঘের সনদের পরিপন্থী।‘
হরিশ আরও বলেন, আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতাকে পূর্ণ সমর্থন করে ভারত। উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে ডুরান্ড লাইনকে কেন্দ্র করে নতুন করে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত বাধে। সংঘর্ষের জেরে মহিলা এবং শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। পাক হানায় আফগানিস্তানের তিন উদীয়মান ক্রিকেটারেরও মৃত্যু হয়।
অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্কে আগের থেকে অনেক মসৃণ হয়েছে। আফগান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি সম্প্রতি ভারত থেকে ঘুরে গিয়েছেন। এ অবস্থায় ভারতের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এছাড়া বুধবার আফগানিস্তানের জনতার সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করার কথাও রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হয়।
শুধুমাত্র শাস্তিমূল পদক্ষেপ করলে অবস্থার পরিবর্তন হবে না বলে জানান পর্বতনেনি হরিশ। নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনাসভায় তিনি বলেন, ‘তালিবানের সঙ্গে বাস্তবসম্মত সম্পর্ক তৈরির জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছে ভারত। একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি ইতিবাচক পদক্ষেপে সাহায্য করবে। শুধুমাত্র শাস্তিমূলক আচরণের উপর জোর দিলে পরিস্থিতি যেমন ছিল, তেমনই থাকবে। যা আমরা গত সাড়ে চার বছর ধরে দেখে আসছি।‘
আফগান জনতার জন্য উন্নয়নমূলক কাজকর্মের প্রতি ভারত যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। কাবুলে ভারতের দূতাবাসের সিদ্ধান্তের কথাও নিরাপত্তা পরিষদে উল্লেখ করে ভারত। আফগান জনতার উন্নয়নে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়।