আমেরিকা থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে পাকিস্তান, বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই

ভারতের উপর ৫০ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক বৃদ্ধি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ালেও পরে জরিমানা হিসেবে অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়। রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের অপরাধে এই সাজা বলে জানান স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারতের উপর ট্রাম্পের এই শুল্ক খাড়ার আবহেই পাকিস্তানের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই আমেরিকার হাত ধরে নিজেদের শক্তি বাড়াতে চাইছে পাকিস্তান।

জানা যাচ্ছে, ভারতের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে এবার আমেরিকার অত্যাধুনিক এয়ার টু এয়ার মিসাইল ‘আরাম’ বা এএমআরএএএম কিনতে চলেছে ইসলামাবাদ। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই চুক্তি প্রকাশ্যে এসেছে।

সূত্রের খবর, আমেরিকার ‘এইম-১২০’ বা এআইএম-১২০ অ্যাডভান্সড মিডিয়াম-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল কিনছে পাকিস্তান। এই চুক্তির মাধ্যমে এই মিসাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা রেথিয়ন ইতিমধ্যেই ৪১.৬ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই চুক্তি ২.৫১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ব্রিটেন, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং সৌদি আরব সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মে মাসের মধ্যে দেশগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে ক্ষেপণাস্ত্র। যদিও পাকিস্তান ঠিক কতগুলি ‘আরাম’ বা এএমআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।


পহেলাগামে জঙ্গি হামলার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। অপারেশন সিঁদুরে ভারতের হাতে নাস্তানাবুদ হয়ে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ হতে চাইছে পাকিস্তান। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান মুনিরের দহরম-মহরম বেড়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। শুধু তাই নয়, বালোচিস্তানের খনিজ সম্পদ আমেরিকার হাতে তুলে দিতে একের পর এক চুক্তি করছে দুই দেশ। নিজেদের বিরল খনিজের প্রথম চালানও আমেরিকাকে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এই অবস্থায় আমেরিকার ছত্রছায়া থেকে নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে পাক প্রশাসন। ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ে এঁটে উঠতে পাকিস্তানের এই তৎপরতা অবশ্য নজর এড়াচ্ছে না সাউথ ব্লকের।

শুধু পাকিস্তান নয়, সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে উদ্যোগী আরেক প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশও। জানা যাচ্ছে, ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচে বাংলাদেশ চিনের থেকে ২০টি জে-১০সিই যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে। বাংলাদেশের উপদেষ্টা সরকারের তরফে এখনও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের এই চুক্তিতে পাইলটদের প্রশিক্ষণ, রক্ষনাবেক্ষণ ও অন্যান্য ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশ বায়ুসেনাকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে এই বিমান বাংলাদেশ বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত হবে বলে সূত্রের খবর।