গত দু’দিনে চন্দ্রভাগার জলপ্রবাহের হিসেব তুলে ধরে পাকিস্তান দাবি করেছে যে, চন্দ্রভাগা বা চেনাব নদী দিয়ে জলপ্রবাহ ক্রমশই কমছে। পাকিস্তানের জল ও বিদ্যুৎ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি দাবি করেছে যে, গত বৃহস্পতিবার ভারত হয়ে মারালার দিকে ৯৮ হাজার ২০০ কিউসেক জল বয়ে গিয়েছে। কিন্তু, শনিবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২০০ কিউসেকে। এর অর্থ, গত দু’দিনে ৯১ হাজার কিউসেক জলপ্রবাহ কমেছে।
ভারতের চন্দ্রভাগার জল আটকানো নিয়ে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান। সেখানকার সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে সেচ বিভাগের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, ভারত চন্দ্রভাগা নদীতে জল আটকে দিয়ে সেই জল তাদের বিভিন্ন বাঁধ অথবা জল বিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যবহার করছে। এছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি হওয়ার পরেও ‘সিন্ধু জলচুক্তি’ স্থগিত রেখেছে ভারত। ওই আধিকারিকের মতে, এটা অন্যায়, ভারত এরকম করতে পারে না। রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে এ নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছে পাকিস্তান।
চন্দ্রভাগায় ভারতের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। এখন ভারত চন্দ্রভাগার জল আটকানোয় বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে পাকিস্তানের, মনে করছেন পাকিস্তানের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা। শুধু তাই নয়, ভারত জলপ্রবাহ বন্ধ করায় ২৪ কোটি পাকিস্তানি অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়বেন।
প্রসঙ্গত ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘সিন্ধু জলচুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই চুক্তি অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির মোট জলের উপর পাকিস্তানের অধিকার প্রায় ৮০ শতাংশ। সেখানে সিন্ধু নদীর জলের উপর ভারতের অধিকার প্রায় ২০ শতাংশ। পহেলগাম কাণ্ডের পর ভারত এই ‘সিন্ধু চুক্তি’ স্থগিত করে দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান।