আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। এমনটাই জানিয়েছেন, বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। শনিবার বিকেলে বরিশাল সার্কিট হাউজে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের আধিকারীকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন নির্বাচন কমিশনার। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রমজানের আগে নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের সব কর্মকাণ্ড সরকার নিষিদ্ধ করেছে, তাই বিচার সম্পন্ন হওয়ার আগে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না। যদি নির্বাচনের আগে বিচার সম্পন্ন হয়, তখন সেটা দেখা যাবে।’ নাসির উদ্দিন আরও জানিয়েছেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যদি আমাদের নির্বাচন করতে হয়, তাহলে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনী কার্যক্রমের ঘোষণা করতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’
সাংবাদিক বৈঠকে নাসির উদ্দিন আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘সবার কাছে আমাদের মূল ম্যাসেজ হল একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া। নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে কাজ করছে। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আগে যে দুই-তিনটা নির্বাচন হয়েছে, এবার সেই ধরণের নির্বাচন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।’ সাংবাদিকদের উদ্দেশে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনের সময় সত্য মিথ্যা যাচাই না করে কেউ যদি গুজব ছড়ায়, তা থেকে বড় ধরনের ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। অপতথ্য রোধে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে একটি সেল খোলা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ছাত্রদের গড়া দল ‘এনসিপি’ও নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। শাপলা প্রতীকের বিষয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘একটা দলের প্রতীক নিতে গেলে আইন ও বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের যে তালিকাভুক্ত প্রতীক আছে, সেখান থেকে নিতে হয়। তারা যা চেয়েছে সেটা আমাদের তালিকাভুক্ত প্রতীক নয়, এজন্য আমাদের দেওয়ার সুযোগ নেই।’