শান্তি প্রস্তাবের মাঝেই হামাসের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার হুঙ্কার নেতানিয়াহুর

টানা দু’বছর ধরে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সংঘাত চলছে। প্রাণ গেছে হাজার হাজার গাজার নিরপরাধ মানুষের। ২০ দফা শান্তি প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাতে সম্মতি জানিয়েছে ইজরায়েল এবং হামাস উভয় পক্ষই।

এবার হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্ত করার কথা বললেন ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু। শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার আগেই শনিবার এমনটাই দাবি করেন তিনি। গাজা থেকে এখনই ইজরায়েলি সেনাকে সরানো হবে না বলেও সাফ জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে হামাসকে নিয়ে এদিন ভবিষ্যদ্বাণীও করেন নেতানিয়াহু। হামাসের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়া হবে। হয় কূটনৈতিক ভাবে নয়তো সেনার পথেই।

এদিন টেলিভিশনে এক বার্তা দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। টেলিভিশন বার্তায় তিনি বলেন, ‘হামাসের নিরস্ত্রীকরণ হবেই এবং গাজা থেকেও সেনা সরবে। সোজা পথে হোক বা কঠিন পথে।‘ কয়েকদিন আগেই গাজার যুদ্ধ থামানো নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হয় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ২০ দফা পরিকল্পনা পেশ করেন ট্রাম্প।


প্রস্তাবে গাজাকে পুরোপুরি সন্ত্রাসবাদীদের কবল থেকে মুক্ত করার কথা বলা হয়। সন্ত্রাসমুক্ত নতুন গাজা গড়ে তোলার কথাও প্রস্তাবে বলা হয়। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত এবং মৃত পণবন্দিদের ফেরাতে হবে হামাসকে। ইজরায়েলও সমস্ত বন্দিদের মুক্তি দেবে। তারপর রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং রেড ক্রসের তত্ত্বাবধানে গাজার জন্য বিপুল ত্রাণ পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবে ইজরায়েলের পাশাপাশি রাজি হয় হামাসও।

দু’পক্ষ এই প্রস্তাব গ্রহণ করার পরেই শনিবার ফের গাজায় হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। শনিবার সকালে গাজা শহর এবং গাজার দক্ষিণাংশের খান ইউনিস এলাকায় গোলাবর্ষণ করে ইজরায়েলি সেনা। এর মধ্যে গাজা শহরে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। অন্যদিকে, খান ইউনিস এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ২ জন সাধারণ নাগরিকের। ইজরায়েলের এই হামলার পরেই প্রশ্ন উঠে গাজায় কি আদৌ শান্তি ফিরবে?  আর তারপরই ফের হামাসের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিতে দেখা গেল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে।