বাংলাদেশের যুব সমাজকে আগ্নেয়াস্ত্র ও মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। প্রথম পর্যায়ে ৮ হাজার ৮৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও মোট ৪০ হাজার যুবক-যুবতীকে এই কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, দেশের সাতটি বিশেষ শিবিরে সেনা অফিসারদের তত্ত্বাবধানে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এখানে কেরাটে, তাইকোন্ডা, জুডো ও আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর কৌশল শেখানো হবে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর এই উদ্যোগের মূল বাস্তবায়ক।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া সম্প্রতি জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণ মূলত রিজার্ভ ফোর্সকে আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্তি দিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ সাধারণ যুবকদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার প্রয়োজন কেন পড়ল।
দিল্লি এবং ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় গণভবন ও দেশের থানাগুলি থেকে লুট হওয়া ভারী অস্ত্রগুলির জন্য এই বাহিনীকে ব্যবহার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একাংশের মত, মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতার শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও জামাত ও কট্টরপন্থীদের প্রভাবের অধীনে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সরকারি হালনাগাদ অনুযায়ী, প্রথম ধাপে প্রশিক্ষণ নেওয়া যুবক-যুবতীদের নিরাপত্তা ও পরিচয় সুনিশ্চিত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে দেশের ভিতরে ও বাইরে এই উদ্যোগ নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।