জোহানেসবার্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার জোহানেসবার্গে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার জোহানেসবার্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এক ‘অনুপ্রেরণাদায়ক আলোচনায়’ অংশ নেন। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ফিন-টেক, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং চিকিৎসা যন্ত্রপাতি খাতের উদ্যোক্তারা। মোদী তাঁদের কাজের বিষয়ে জানেন ও ভারতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

উদ্যোক্তা যতীন ভাটিয়া বলেন, মোট আট জন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ পান। তিনি নিজেও ছিলেন তাদের একজন। যতীন বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান এক্সপ্লার্জার ২০২১ সালে ভারতে চালু হয়েছিল, যেটি “বিশ্বের প্রথম ভ্রমণ-প্রধান সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম” হিসেবে পরিচিত। এই অ্যাপে ৭৫টি দেশের দুই কোটি (২০ মিলিয়ন) মানুষ যুক্ত রয়েছেন।

ভাটিয়া আরও বলেন, ‘মোদীর সঙ্গে আলাপচারিতার সময় মনে হয়নি যে, আমরা কোনও রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে কথা বলছি। তিনি এক প্রযুক্তি উদ্যোক্তার মতো আমাদের প্রশ্ন করছিলেন। প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা, তার দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত দূরদর্শী। এমন একজন ভারতের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতায় রয়েছেন, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।’


প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর, এই প্রথম আফ্রিকান মহাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া জি-২০ সামিট-এ অংশগ্রহণ করেছেন। এই সামিটে ভারতের দক্ষিণ মহাদেশীয় ভূমিকাসহ বিশ্ব অর্থনীতির বিষয়ে আলোচনা করবেন। এই সামিটে দক্ষিণ মহাদেশের তিনটি রাষ্ট্র পরপর সভাপতিত্ব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (২০২২), ভারত (২০২৩) ও ব্রাজিল (২০২৪)। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার পালা। জি২০-তে প্রধান অর্থনীতির দেশগুলি রয়েছে, যারা বিশ্বব্যাপী জিডিপি-র ৮৫ শতাংশ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে।

এই বৈঠকে উঠে আসে একাধিক বিষয়– ভারতের প্রযুক্তিতে অগ্রগতি, দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলির সঙ্গে সংযোগ, উদ্যোক্তা দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মজবুত করা, পর্যটন উন্নয়নসহ বিভিন্ন দিক প্রসারিত করা। প্রধানমন্ত্রী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন, যাতে তাঁরা ভারতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন এবং উদ্ভাবন-প্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।

এই উদ্যোগ ভারতীয় প্রযুক্তি খাত ও গ্লোবাল বিনিয়োগ পরিমণ্ডলে একটি নতুন দিশা নির্দেশ করছে, যেখানে “ব্যবসায়িক নেতা” এবং “রাজনৈতিক নেতা”র সীমানা ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে।