গাজায় ফের মৃত্যুমিছিল। ত্রাণ নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল শতাধিক মানুষ। হঠাৎ গোলাবর্ষণ শুরু হয়। ইজরায়েলি এই হামলায় মৃত্যু হয় প্রায় ৫১ জনের। জখম প্রায় ২০০ জন। ২০ জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার ভোরে দক্ষিণ গাজার একটি ত্রাণশিবিরে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় জানা গিয়েছে, খাবারের ট্রাকের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল শ’য়ে শ’য়ে লোক। হঠাৎ ওই দাঁড়িয়ে থাকা অভুক্ত মানুষদের উপর গোলাবর্ষণ করে ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক। নাসিরের স্থানীয় হাসপাতালে ভিড় উপচে পড়েছে আহতদের ।
টানা আড়াই মাস ধরে গাজাকে অবরুদ্ধ করে অভিযান চালায় ইজরায়েলি সরকার। বিশ্বের চাপের মুখে পড়ে অবশেষে ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেয় ইজরায়েল। বিভিন্ন দেশ থেকে পাঠানো হয় ত্রাণসামগ্রী। গাজার এই অসহায় দুর্ভিক্ষপীড়িত পরিস্থিতিতে ত্রাণ পাঠাতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে দেশগুলিকে। এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ ভর্তি ট্রাক যেন নিমেষেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। চলছে লুটপাট। এহেন পরিস্থিতিতে নিরীহ মানুষের উপর গুলি চালায় ইজরায়েলি সেনারা। কামান দাগে হত্যা করার অভিযোগ উঠছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে।
ঘটনার নিন্দা করে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখার প্রধান ভোলকার তুর্ক এই ঘটনাকে ভয়ানক বলে আখ্যা দেন।
গাজার এই সাম্প্রতিক করুণ প্রতিচ্ছবি তুলে ধরতে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, গাজার ২০ লক্ষ মানুষের মধ্যে বেশিরভাগ জন অপুষ্টির শিকার। তাদের কাছে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ত্রাণ না পৌঁছালে ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। গাজায় প্রায় দুবছর ধরে চলা ইজরায়েল-হামাস সংঘাতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫৫হাজার মানুষের। এই রিপোর্ট প্রকাশের পর গাজায় ত্রাণ পাঠানোর পরে বারবার এই হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। গাজার উপর এই হামলাকে নৃশংস বলে অভিহিত করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি।