মার্কিন হামলার পর পরমাণু কেন্দ্রগুলি থেকে কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে না, জানালো ইরান

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

পরমাণু ঘাঁটিতে মার্কিন হামলার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিল ইরান। তেহরান জানিয়েছে, হামলার পর কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে না। দেশের জনগণ নিরাপদেই আছে। সৌদি আরবের পরমাণু নিয়ন্ত্রক সংস্থাও একই কথা বলেছে। ইরানের ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সেফ্‌টি সিস্টেম সেন্টারকে উদ্ধৃত করে সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশের পরমাণু কেন্দ্রগুলি থেকে এখনও কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণের খবর নেই। ফলে ওই সব অঞ্চলে জনগণের কোনও চিন্তার কারণ নেই। তেহরানের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফোরডো, ইসফাহান এবং নাতান্‌জে এলাকায় আমেরিকার হামলার পর কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে না। ফলে উল্লিখিত জায়গাগুলির আশপাশে যাঁরা থাকেন, তাঁদের ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। পাশাপাশি, রাশিয়ার পর এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে চিন।

একই ভাবে মার্কিন হামলার পর সৌদি আরবের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেই বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, ‘ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলি লক্ষ্য করে মার্কিন সামরিক হামলার ফলে সৌদি আরব এবং আরব উপসাগরীয় দেশগুলির পরিবেশের উপর কোনও তেজস্ক্রিয় প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।’

এদিকে আমেরিকার হামলার পর ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংগঠন একটি বিবৃতিতে বলেছে, আমেরিকার এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এই পরমাণু কেন্দ্রগুলি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে। তেহরান আশা প্রকাশ করেছে, আন্তর্জাতিক মহল এই বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করে ইরানকে তাদের বৈধ অধিকার অর্জনে সমর্থন করবে।


অন্যদিকে ইরানকে সমর্থন করে আমেরিকার এই আক্রমণের নিন্দা করেছে চিন। রাশিয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয় কোনও শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকার হামলার নিন্দা করল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার দায় স্বীকার করার পর চিন তোপ দেগেছে, ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে আকাশপথে হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে আমেরিকা!  এমনকি রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদেরও তোয়াক্কা করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলিতে হামলা চালিয়ে পশ্চিম এশিয়ার উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে আমেরিকা। এমনটাই মনে করছে বেজিং। সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংঘর্ষ থামিয়ে আলোচনায় বসারও ডাক দিয়েছে তারা। পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে অন্য দেশগুলির সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে চিন।