ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে ধর্ষণের অভিযোগ

ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। উত্তর ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের ঘটনা। নির্যাতিতা তরুণীর বয়স ২০। অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকে এক শ্বেতাঙ্গ যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তের সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ করেছে পুলিশ। ওই যুবককে খুঁজতে স্থানীয় মানুষের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় ওয়ালসাল পার্ক হল এলাকায় ওই তরুণীকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেয়। তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, জাতি বিদ্বেষের কারণেই তাঁকে ধর্ষণ করেছে এক শ্বেতাঙ্গ যুবক। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পুলিশ ওই শ্বেতাঙ্গ যুবকের একটি ভিডিও পেয়েছে। অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ করেছে তাঁরা। ব্রিটেন পুলিশের গোয়েন্দা সুপার (ডিএস) রোনান টাইরার জানান, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

এই ঘটনা নিয়ে ব্রিটেনের তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। কভেন্ট্রি দক্ষিণের সাংসদ জারা সুলতানা বলেছেন, ‘শনিবার, এক পাঞ্জাবি মহিলার উপর বর্ণবিদ্বেষের কারণে যৌন নির্যাতন চালানো হয়। সেপ্টেম্বর মাসে আরেক শিখ মহিলাও নির্যাতনের শিকার হন। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে।’ ব্রিটেনের মসনদে থাকা লেবার পার্টির সাংসদ প্রীত কৌর গিল বলেন, ‘বর্ণবিদ্বেষের কারণে ধর্ষণের খবরে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত এবং দুঃখিত।’


পুলিশের বক্তব্য, অভিযুক্ত যুবক শ্বেতাঙ্গ, তাঁর চুল ছোট করে ছাঁটা, বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। ঘটনার সময় কালো পোশাক পরে ছিলেন অভিযুক্ত। কিছু দিন আগে ব্রিটেনের ওল্ডবারি এলাকায় আরও এক শিখ মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ব্রিটেনের স্থানীয় শিখ ফেডারেশনের দাবি, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের নির্যাতিতাও পাঞ্জাবি শিখ। এই দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।