অস্ট্রেলিয়ায় ফের আক্রান্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক। এবার অভিযোগ উঠেছে পাঁচ কিশোরের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আক্রান্ত ওই যুবক। গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মেলবোর্নে ঘটনাটি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে আসার পর ফের একবার অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আক্রান্ত যুবকের নাম সৌরভ আনন্দ (৩৩)। গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ অল্টোনা মিডোজের সেন্ট্রাল স্কোয়ার শপিং সেন্টার থেকে ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ফেরার সময় বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। সেই সময় একটি ফাঁকা এলাকায় আচমকা তাঁকে ঘিরে ধরে কয়েকজন কিশোর। ছুরি দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ও টাকাপয়সা। ছিনতাইয়ের পরেও থেমে থাকেনি অভিযুক্তরা। সৌরভের মাথায় ক্রমাগত ঘুষি মারতে থাকে তারা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো শুরু হয়। নিজেকে বাঁচাতে হাত দিয়ে অস্ত্রের আঘাত ঠেকাতে গেলে কব্জিতে অস্ত্রের কোপ পড়ে সৌরভের। সেই আঘাতে তাঁর বাঁ হাতটা কব্জি থেকে ঝুলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে কোনও রকমে দুষ্কৃতীদের থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে পালিয়ে আসেন সৌরভ। স্থানীয়রা তাঁকে দেখতে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
সৌরভের শারীরিক অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা মনে করেছিলেন, তাঁর বাঁ-হাতটা কব্জি থেকে বাদ দিতে হতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। অস্ত্রোপচারের সাহায্যে হাতটি জোড়া লাগানো সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সৌরভের কথায়, ‘আমি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলাম। আমার হাতটা কব্জি থেকে সুতোর মতো ঝুলছিল।’ পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁচ জন কিশোর ওই দিন সৌরভের উপর হামলা চালিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে চার জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেও অস্ট্রেলিয়ায় এক ভারতীয় যুবককে মারধরের ঘটনা সামনে এসেছিল। গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে এই ঘটনা ঘটে। আক্রান্তের নাম চরণপ্রীত সিংহ। তিনি তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে কিন্টোর অ্যাভেনিউয়ে একটি জায়গায় গিয়েছিলেন। সেখানে গাড়ি পার্ক করা নিয়ে বচসাকে কেন্দ্র কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তাঁর বচসার সূত্রপাত হয়। তাঁকে ‘ভারতীয়’ বলে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদ করায় তাঁকে লাথি ঘুষি মারা হয়।