পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট জমা হতেই রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ ভারতের

ফাইল চিত্র

সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল ভারত। পহেলগাম হত্যাকাণ্ডে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) চার্জশিট পেশ করার পরই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের উপকেন্দ্র’ বলে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল দিল্লি। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান শুধু সন্ত্রাসে আশ্রয় দিচ্ছে না, বরং পরিকল্পিত ভাবে ভারত ও ভারতীয়দের ক্ষতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘শান্তিপ্রতিষ্ঠায় নেতৃত্বদান’ সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিনিধি ফের জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলেন। সঙ্গে সঙ্গেই এর তীব্র প্রতিবাদ জানান রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হরিশ পর্বতনেনি। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। পাকিস্তানের মন্তব্য ‘অপ্রাসঙ্গিক ও অযাচিত’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চকে অপব্যবহার করে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে উস্কানি দিচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটেই পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ভারতীয় দূত। সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের আদালতে এনআইএ-র জমা দেওয়া চার্জশিটে পাকিস্তানি জঙ্গি সাজিদ সইফুল্লাকে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি লশকর-এ-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর প্রধান বলে উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। ভারতের দাবি, এই ঘটনা পাকিস্তানের মদতে সীমান্তপারের সন্ত্রাসের আরও একটি প্রমাণ।

রাষ্ট্রসঙ্ঘে সিন্ধু জলচুক্তি প্রসঙ্গও তোলেন হরিশ পর্বতনেনি। তিনি বলেন, পাকিস্তান বছরের পর বছর সন্ত্রাসে মদত দিয়ে আসছে এবং বিশ্বাসভঙ্গ করেছে। ৬৫ বছর আগে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলচুক্তির পরেও পাকিস্তান তিন বার যুদ্ধ চালিয়েছে এবং হাজার হাজার বার ভারতে জঙ্গি হামলার চেষ্টা করেছে। পহেলগাম হত্যাকাণ্ড সেই ধারাবাহিকতারই অংশ বলে মন্তব্য করে ভারত স্পষ্ট বার্তা দেয়— সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ না হলে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক স্তরে আরও চাপে পড়তে হবে।