ইউনূসের ব্যর্থতার দায় ভারতের নয়: দিল্লি

ফাইল চিত্র

বাংলাদেশে ফের দ্রুত নির্বাচন চাইল ভারত। দিল্লির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ভারত চায় বাংলাদেশে দ্রুত একটি নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করুক। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি এবং সরকারি কর্মচারীদের ব্যাপক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন’ করার আহ্বান জানিয়েছে ভারত।

রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে আমরা আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছি। বিশেষ করে সেখানকার নির্বাচন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা ধারাবাহিকভাবে এগুলো বলে যাচ্ছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও রায় নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে দিল্লির তরফে বলা হয়েছে, তারা যেন নিজেদের ব্যর্থতার দায় ভারতের উপর না চাপায়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সমস্যাগুলি সেখানকার বর্তমান সরকারকেই সমাধান করতে হবে। অজুহাত তৈরি করে সমস্যার সমাধান করা যায় না।

মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেন। তার আগে তিনি পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে ইউনুস অভিযোগ করেন দিল্লি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তবে এই দাবি নাকচ করেছেন রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের এসব অভিযোগ প্রকৃত সমস্যা থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টামাত্র।’
বৈঠক শেষে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণেই গোটা দেশ সংকটে রয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য জরুরি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত এই খবর সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শাসনব্যবস্থার পূর্ণ দায়ভার তাদের সরকারের ওপরই বর্তায়।