আত্মরক্ষার অধিকার আছে ভারতের, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সরব ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ

ফাইল চিত্র

পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর প্রত্যাঘাত ভারতের। ঘটনার ১৫দিনের মাথায় ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত। তার জেরে পুনরায় প্রত্যাঘাত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। জবাবে ভারত পাল্টা লাহোর সহ পাকিস্তানের একাধিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান ভারতের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারতের হয়ে সরব হয়েছেন সেখানকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাংসদ প্রীতি প্যাটেল। তিনি আল কায়েদার প্রাক্তন প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে পাকিস্তানকে কাঠ গড়ায় দাঁড় করান। এরপরই তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘হাউস অফ কমনসে’ ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারের কথাটি মনে করিয়ে দিলেন।

এদিন প্রীতি বলেন, ‘ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। যে বা যারা ভারতকে ভয় দেখানেরা চেষ্টা করছে, যে পরিকাঠামো থেকে ভারতের উপর হামলা চলছে, সেখানে প্রত্যাঘাত করা নয়াদিল্লির অধিকার।’ প্রীতির দাবি, ‘সে দেশে থাকা সন্ত্রাসবাদীরা ভারতের মতো পশ্চিমী দুনিয়ার জন্যও ক্ষতিকারক।’

তিনি মনে করিয়ে দেন, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসরন ভ্যালিতে কীভাবে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে ২৫জন নিরস্ত্র ও নিরীহ পর্যটক এবং এক স্থানীয় যুবককে হত্যা করেছিল। উল্লেখ করেন, কীভাবে সন্ত্রাসের ক্ষতচিহ্ন বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দিল্লি, মুম্বইয়ের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ বৈসরন ভ্যালি।


পাকিস্তানই যে কুখ্যাত জঙ্গি ওসামা-বিন-লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল, এদিন তিনি সে কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘ দিন ধরে ভারতকে উত্যক্ত করেছে পাকিস্তানের আশ্রিত সন্ত্রাসবাদীরা। নয়াদিল্লির সঙ্গে ব্রিটেনের যে সন্ত্রাসবিরোধী দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে, সেগুলিও তিনি মনে করিয়ে দেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘হাউস অফ কমনসে’। একই সঙ্গে প্রীতি প্যাটেলের জোরালো সওয়াল, সন্ত্রাস নির্মূল করতে ব্রিটেনের উচিৎ ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথভাবে কাজ করা। যদিও তিনি চান না, এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বাড়ুক।

প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই মুক্ত বাণিজ্যচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ভারত ও ব্রিটেন। আর তারপরেই পহেলগামের হামলার প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারত। মঙ্গলবারই গভীর রাতে ভারত পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আর ঠিক তার দুইদিন পরেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সরব হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাংসদ প্রীতি প্যাটেল। তিনি সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘হাউস অফ কমনসে’। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বোঝাই যায়, পাকিস্তানে সন্ত্রাস দমনে ভারতের সঙ্গে কোমর বাঁধতে চাইছে ব্রিটেনও।