প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর পর ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি হুথি সরকারের

ইজরায়েলি বিমান হানায় ইয়েমেনের রাজধানী সানায় নিহত হয়েছেন হুথি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ গালিব আল-রাহাবি। একই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন হুথি মন্ত্রিসভার আরও কয়েকজন সদস্য। ঘটনার পর ইরান-সমর্থিত এই শিয়া গোষ্ঠী সরাসরি ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রতিশোধ নেওয়ার বার্তা দিয়ে। শনিবার রাতে এক ভিডিওবার্তায় হুথি সরকারের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পরিষদের চেয়ারম্যান মাহদী আল-মাশাত বলেন, ‘আমরা এর প্রতিশোধ নেবই। এই গভীর ক্ষত নিয়েই আমরা জয় ছিনিয়ে আনব।’ তিনি জানান, গাজা নিয়ে হুথি সরকারের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হবে না এবং ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তারা আগের মতোই রুখে দাঁড়াবে।

শুক্রবার সানায় ইজরায়েলের তরফে এই আকস্মিক হামলা চালানো হয়। তেল আভিভ দাবি করেছে, হুথি প্রধানমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার ১২ জন সদস্যকে তারা ওই হামলায় হত্যা করেছে। যদিও হুথি পক্ষ থেকে প্রথমে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। পরে শনিবার রাতে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করে নেয় হুথি সরকার। তবে মন্ত্রিসভার ঠিক কতজন সদস্য মারা গিয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।

গত কয়েক বছর ধরেই ইয়েমেনে চলা গৃহযুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে হুথি গোষ্ঠী ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের অভিযানের পর থেকেই হুথিরা একাধিকবার তেল আভিভের দিকে ব্যালিস্টিক ও ক্রু্জ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।


ইয়েমেনে সৌদি আরবের সমর্থনপুষ্ট সুন্নি গোষ্ঠীর সরকারও হুথিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও রাজধানী সানা সহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখনও হুথিদের দখলে রয়েছে। হুথি প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকাণ্ড পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এই হামলার জেরে হুথিদের প্রতিক্রিয়া এবং সম্ভাব্য পাল্টা পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নতুন করে অস্থির করে তুলতে পারে।