ইউনূসের আবেদনের পরেও শেখ হাসিনার পরিবার বা আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে হামলার ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। শুক্রবার রাতে গাজীপুরে প্রাক্তন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালায় তথাকথিত ‘বিপ্লবীরা’। সেই বিপ্লবীদের ডাকাত ভেবে স্থানীয়রা মারধর করেন। এতে জখম হয়েছেন ১৫ জন। সেনাবাহিনী গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ওই পাঁচজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনের মাথায়, একজনের ডান হাতে ও আরেকজনের শরীরে গুরুতর আঘাত রয়েছে। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়। তাঁরা হলেন – গাজীপুরের ইয়াকুব (২৪), সৌরভ (২২), কাশেম (১৭), শুভ শাহরিয়া (১৬) ও হাসান (২২)। ইয়াকুবের ভাই নাছির বলেন, ফাঁদের ফেলে বেশ কয়েকজনকে মোজাম্মেল হকের বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁদের।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা গাজীপুরের ধীরাশ্রমে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালান। তাঁরা বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। সেই সময় মসজিদের মাইকে মন্ত্রীর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা করে লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। মাইকিং শুনে আশপাশের লোকজন বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। তাঁরা ভাঙচুরকারী কয়েকজনকে মারধর করেন।
সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠান। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জয়দেবপুর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গাজীপুরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গাজীপুর জেলার সিভিল সার্জন মাহমুদা আখতার বলেন, ১৫-১৬ জনকে তাজউদ্দীন মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।