ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে করাচি ও তার সংলগ্ন এলাকা। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। একাধিক জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমনকি করাচি বিমানবন্দরও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সেজন্য আপাতত বাতিল করা হয়েছে বিমান পরিষেবা। সবেচেয়ে খারাপ অবস্থা সেখানকার সিন্ধ প্রদেশে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এখানকার একাধিক স্কুলে বুধবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টির জেরে করাচি শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় প্রচুর জল জমেছে। এখনও পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। জিন্না আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে উড়ান পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। প্রায় ১১০০ জন মানুষকে বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত গুলশন-ই-হাদেদে ১৭০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গুজরাত উপকূল সংলগ্ন আরব সাগরের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। সেই সঙ্গে মৌসুমি অক্ষরেখা পাকিস্তানের উপর সক্রিয় রয়েছে। সেই কারণে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানের করাচিতে। পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এখনই এই বৃষ্টি থেকে রেহাই মিলবে না। বিশেষ করে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে চলতি সপ্তাহ জুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে দুর্যোগ এবং তা থেকে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে। এমনটাই জানিয়েছে পাক আবহাওয়া দপ্তর।