বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগেই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। এ বার তাঁকে নিয়ে আরও তিনটি মামলায় রায় দিল বাংলাদেশের আদালত। ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ কোর্টের বিচারক মহম্মদ আব্দুল্লা আল মামুন বৃহস্পতিবার দুপুরে রায় ঘোষণা করেন।
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি মামলায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিল ঢাকার এক আদালত। এই সংক্রান্ত পৃথক তিনটি মামলায় হাসিনাকে ৭ বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি জয়ের ১ লক্ষ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়) জরিমানা করা হয়েছে।
২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে ভারতে সাময়িক আশ্রয় নেন হাসিনা। গত বছর থেকেই হাসিনার বিরুদ্ধে বিবিধ মামলা শুরু হয় বাংলাদেশে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলা হল গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা। ওই মামলায় হাসিনাকে ইতিমধ্যে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের ট্রাইবুনাল। এ বার প্লট বণ্টন সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা পেলেন তিনি।
ঢাকার পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পের জন্য প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল হাসিয়ার বিরুদ্ধে। মামলাগুলোয় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক সহ অন্যদের আসামি করা হয়। এই সংক্রান্ত মোট ৬টি পৃথক মামলা দায়ের করে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন। তার মধ্যে তিনটি মামলায় বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করল বাংলাদেশের আদালত।