শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধারাবাহিক নানা সময় প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনাক্রমের জেরে আঙুল উঠেছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে। অনেকের মতে, ইউনূসের শাসনকালে মোটেই সুরক্ষিত নয় হিন্দু, খ্রিস্টানদের মতো সংখ্যালঘুরা। তাঁদের উপর ধারাবাহিক ভাবে হামলা হয়েছে।
যদিও ইউনূসের দাবি, হিন্দু নির্যাতন হয়নি বাংলাদেশে, এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেন, ‘মোটেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সেখানে মৌলবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে এবং নির্দিষ্ট নিশানা করেই সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চলছে।’
গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের জেরে গদিচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা আপাতত ভারতের ‘রাজনৈতিক আশ্রয়ে’ আছেন। গণহত্যার অপরাধে তাঁর বিচার শেষ হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। আগামী সোমবার রায় ঘোষণা হবে। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও নিজেদের শক্তি দেখানোর জন্য আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতি বার লকডাউনের পর রবিবার শাটডাউনের ডাক দিয়েছে হাসিনার দলের সদস্যরা।
এই আবহে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার শাসনকালে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সর্বোচ্চ সুরক্ষা এবং তাঁদের বিশ্বাস অটুট রাখতে আমরা যথেষ্ট পরিশ্রম করেছিলাম। বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার আবহ ছিল, গণতন্ত্রের মধ্যে বৈচিত্র্য ছিল। কিন্তু এখন ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সেখানে ভয়ে ভয়ে বাস কেন। তাঁদের মন্দিরে হামলা হচ্ছে, দোকানপাটে লুট চলছে, পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’ তাঁর কথায়, ‘এখনকার অন্তর্বর্তী সরকার তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। আমি বলতে চাই, ইউনূস সরকার হিন্দুদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করছে।’