ফ্রান্স, জার্মানির পর এবার লকডাউন বেলজিয়ামেও 

প্রতিকি ছবি (Photo by Michal Cizek / AFP)

কোভিড ১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ইওরােপের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে। তার জেরে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে ফের লকডাউনের পথে গিয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। এবার সেই পথে হাঁটা দিল বেলজিয়ামও। 

শুক্রবার বেলজিয়াম সরকারের তরফে জানানাে হয়েছে, ইওরােপের দেশগুলির মধ্যে সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি হার বেলজিয়ামে। করােনা রুখতে তাই আবার লকডাউন ঘােষণা করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, জরুরি প্রয়ােজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরনােই ভালাে। তবে প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য শহরের কিছু দোকানপাট খােলা থাকবে। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সব দোকানপাট, সেলুনের মতাে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। 

বাইরে বের হলে এক জায়গায় ছ বা তার কম সংখ্যক মানুষের জমায়েতের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সুপারমার্কেটে শুধুমাত্র প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্রের দোকান খােলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের সব স্কুল-কলেজ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরিবার থেকে মাত্র একজনকেই বাইরে বেরনাের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রবীণদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে থাকছে বিশেষ পরিষেবা। মানুষ যাতে বাড়ি থেকে কাজ করতে পারেন, তার ব্যবস্তা করতে বলা হয়েছে। 


নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, দেশের পানশালা বা রেস্তোরাঁ কড়া লকডাউনে বন্ধ থাকবে। রাতের সময় যে কারফিউ জারি করা হয়েছে তা আগামী দিনগুলিতেও বলবৎ থাকবে। বুধবারই লকডাউনের পথে হাঁটার কথা ঘােষণা করেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকরন ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। এই ঘােষণার পরেই বিশ্ব স্টক মার্কেটে ব্যাপক ধাক্কা লাগে। 

অন্যদিকে জার্মানিতে ২ থেকে ৩০ নভেম্বর বার-রেস্তোরাঁ, থিয়েটার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খােলা থাকবে স্কুল। দোকানপাট খােলা থাকলেও সেখানে কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকবে। গত ৯০ দিনে ক্রমাগত বেড়েছে ইওরােপে করােনা সংক্রমণের হার। এই তথ্য জানানাে হয়েছে ইওরােপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের তরফে।