জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। সোমবার রাতে ৭.৬ রিখটার স্কেলে কেঁপে ওঠে জাপানের উত্তর-পূর্বাংশ প্রদেশ আইওয়েটের একটা বড় অংশজুড়ে। আইওয়েট প্রদেশ বরাবর প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলে কম্পনটি হয়। এরপর জাপান জুড়ে জারি হয় সুনামি সতর্কতা। তবে মঙ্গলবার সকালে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। দেশবাসীকে সাবধানে থাকার নির্দেশ দিয়েছে জাপান প্রশাসন। যদিও প্রথম কম্পনের পর আশঙ্কা ছিল, আগামী কয়েকদিনে বড়সড় ভূমিকম্প হতে পারে জাপানে।
ভূমিকম্পের পরই জাপানের আবহাওয়া সংস্থার ‘জেএমএ’ তরফে হোক্কাইডো, আওমোরি এবং ইওয়াতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। সমুদ্রের ঢেউ ১০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আবহাওয়া সংস্থা। উপকূলবর্তী এলাকাগুলি ফাঁকা করে দেয় সেদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতেও।
গত মাসেই জাপানের ওই অংশে ভূমিকম্প হয়েছিল। আইওয়েট প্রদেশ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে প্রশান্ত মহাসাগরে সুনামি লক্ষ্য করা যায়। চলতি বছরের জুলাইয়েও একই ভাবে কেঁপে উঠেছিল জাপানের একাংশ। জানুয়ারিতে মিয়াজাকির কিউসু দ্বীপে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প লক্ষ করা গিয়েছিল। সেই সঙ্গে ছিল সুনামির সতর্কতাও।
জাপান এমনিতেই বিশ্বের অন্যতম ভূকম্পপ্রবণ দেশ। প্রশান্ত মহাসাগরের অগ্নিবলয় বা ‘রিং অফ ফায়ার’-এর উপর অবস্থান করায় বছরে প্রায় ১৫০০টি বড়-ছোট ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান। ২০১১ সালে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপান এবং সংলগ্ন এলাকা। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১৮ হাজার জনের। দানবীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুকুশিমা আণবিক কেন্দ্র। তেজস্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে দেশটি। তারপরই ফুকুশিমার ওই কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১২৫ মিলিয়নের দেশে প্রতি বছর দেড় হাজার বার ভূমিকম্প হয়।