হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড দিল ঢাকার ট্রাইব্যুনাল

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ঢাকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাজা ঘোষণা করল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাঁকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। আদালত অবমাননার দায়ে তাঁর এই শাস্তি বলে জানানো হয়েছে। তবে তাঁকে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে বিনাশ্রম কারাদণ্ড। বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে এই শাস্তি ধার্য করা হয়েছে। বিচারপতি মর্তুজার সঙ্গে আরও দুই বিচারপতি ছিলেন। তাঁরা হলেন বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি আরও একজনের জন্য এদিন সাজা ঘোষণা করা হয়। তিনি গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে মহম্মদ শাকিল আলম। তাঁকে দু’মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফোনালাপের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছিল। কল রেকর্ডে শোনা যায়, ‘এক নারীকণ্ঠ বলছে, আমার নামে আড়াইশো খুনের মামলা হয়েছে। তাই আমি আড়াইশো খুন করার অনুমতি পেয়েছি।’

গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে প্রবল ছাত্র আন্দোলনের জেরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ঢাকার রাজপথ চলে যায় ছাত্র জনতার দখলে। দেশ ছেড়ে তিনি ভারতে চলে আসেন। আওয়ামী লীগের বহু নেতা এই মুহূর্তে পলাতক। ৫ আগস্ট হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর সেখানে গঠিত হয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ইউনূস সরকারের প্রধান কাজ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। তবে নির্বাচন করতে বহু দেরি করে ফেলছে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এমনই অভিযোগ করে আসছেন বিরোধীরা। কিছুদিন আগে ইউনূস সরকার ঘোষণা করেছে আগামী বছর এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।


শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে ভারতে আছেন। তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের আছে আবেদন করেছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশে হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। বুধবার একটি মামলার জন্য হাসিনার ৬ মাস কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করা হয়।