দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত মিলছে। এমন সময় বৃহস্পতিবার সকালে চিন সফরে রওনা দিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। এই সফর ঘিরে বাড়ছে কূটনৈতিক আলোড়ন, কারণ একই সময়ে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী এবং শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতার জন্য থাকা বহুপাক্ষিক সংগঠন সার্ক দীর্ঘদিন ধরেই কার্যত নিষ্ক্রিয়। এই শূন্যস্থানকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান এবং চিন এক নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে কূটনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। বেজিং এবং ইসলামাবাদ চায়, এই সম্ভাব্য ত্রিদেশীয় কৌশলগত জোটে বাংলাদেশও যোগ দিক। ঢাকায় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে বলেছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং চিনকে নিয়ে একটি নতুন কৌশলগত গোষ্ঠী গড়ে তুলতে আগ্রহী বেজিং।
তবে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি এবং তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান বারবার স্পষ্ট করেছে। তবুও, বেজিং ঢাকার ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। এই প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, এই সফরে ওয়াকার-উজ-জামান চিনের সামরিক ও অসামরিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। যদিও সম্ভাব্য ত্রিদেশীয় জোট নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক বা আলোচনা হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।