দুর্বল বাইডেন যুদ্ধ বাঁধাতে পারেন আশঙ্কার মেঘ দেখছে চীন

জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস (Photo: IANS)

ডেমােক্র্যাট বাইডেনের জমানায় আমেরিকা ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ার সম্ভানাই বেশি। শি জিনপিংয়ের সরকারকে এমনই পরামর্শ দিলেন সে দেশের কূটনীতিবিদ তথা সরকারি উপদেষ্টা ঝেং ইয়ংনিয়ান। শেনঝেন প্রদেশের অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল কনটেম্পােরারি চায়না স্টাডিজের ভিন ঝেং।

দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক কৌশলের রূপরেখা তৈরি করতে অগস্ট মাসে তাঁকে উপদেষ্টা নিয়ােগ করেন চীন প্রেসিডেন্ট জিনপিং। আমেরিকার রাজনৈতিক রদবদল এবং দুই দেশের সম্পর্কে তার কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে গুয়াংঝৌ- তে সম্প্রতি একটি আলােচনাসভায় যােগ দেন তিনি। সেখানেই বাইডেন সম্পর্কে জিনপিং সরকারকে সতর্ক করে দেন ঝেং।

তিনি বলেন, “পরিস্থিতি আর আগের মতাে নেই। ঠান্ডা যুদ্ধের ঘাের এখনও কাটেনি ওদের। রাতারাতি তা কাটবেও না। আমেরিকার সমাজ দ্বিধাবিভক্ত। বাইডেন কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না আমার। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুর্বল উনি। তাই অভ্যন্তরীণ সমস্যা মেটাতে না পারলে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রেই নজর পড়বে ওঁর। সে ক্ষেত্রে চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারেন উনি।


অনেকে হয়তাে বলবেন , ট্রাম্প গণতন্ত্র এবং বাক স্বাধীনতার বিরােধী। বাইডেন নন কিন্তু আমার মতে, ট্রাম্প যুদ্ধে আগ্রহী নন। কিন্তু ডেমােক্র্যাট প্রেসিডেন্ট যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধ বাধিয়ে ফেলতে পারেন।”

প্রসঙ্গত, উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙঘন হােক বা বাণিজ্য শুল্ক অথবা করােনাভাইরাসের প্রকোপ সামাল দেওয়া, গত কয়েক বছরে একাধিক বিষয় আমেরিকা ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হংকংয়ে চীনের আধিপত্য বিস্তার এবং লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনার আগ্রাসন নিয়েও সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে।

সাম্প্রতিক কালে মার্কিন কংগ্রেসে চিনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান এবং ডেমােত্ৰণ্যাট শিবির থেকে ৩০০- র বেশি বিল জমা পড়েছে। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন চিনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে দেখা যায় বাইডেনকেও।