রানওয়ে থেকে পিছলে সমুদ্রে গিয়ে পড়ল বিমান, হংকংয়ে বড় দুর্ঘটনা

হংকংয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল একটি পণ্যবাহী বিমান। অবতরণের সময়ে রানওয়ে থেকে পিছলে গিয়ে সেটি পাশের সমুদ্রে পড়ে যায়। একটি গাড়ির সঙ্গেও সংঘর্ষ হয় বিমানটির। এই দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হংকং পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত এক জন বিমানবন্দরের কর্মী ছিলেন। অন্য জনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

দুর্ঘটনার পর উত্তর হংকংয়ের এই পণ্যবাহী বিমানবন্দরটিকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। একাধিক সংবাদ মাধ্যম এই বিমান দুর্ঘটনার ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, একেবারে সমুদ্রের ধারে রয়েছে পণ্যপাহী বিমানের বিমানবন্দরটি। সমুদ্রতীরে মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে বিমানটি। যাত্রিবাহী বিমান না হওয়ায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।

দুবাই থেকে হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসছিল এমিরেট্‌স এয়ারলাইন্সের পণ্যবাহী বিমানটি। ভোর ৩টে ৫০ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল। ভোরে আবহাওয়া কিছুটা প্রতিকূল থাকায় বিমানটি সঠিকভাবে অবতরণ করতে পারেনি। রানওয়েতে পিছলে যাওয়ায় বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান পাইলট। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ির সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়। গাড়ি এবং বিমান, দুটিই সমুদ্রে গিয়ে পড়ে।


পণ্যবাহী ওই বিমানটির ভিতরে পাইলট-সহ চার জন বিমানকর্মী ছিলেন। সমুদ্র থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। বিমানসংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটির বয়স অন্তত ৩২ বছর। আসে সেটি যাত্রী পরিবহনে ব্যবহার করত অন্য একটি বিমান সংস্থা। সম্প্রতি পণ্য পরিবহণের প্রয়োজনে বোয়িং৭৪৭ বিমানটি নিয়েছিল এমিরেট্‌স এয়ারলাইন্স।

এর আগে ১৯৯৯ সালে হংকং বিমানবন্দরের বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেবারত চিন এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রিবাহী বিমান টাইফুন চলাকালীন এই বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করেছিল। অবতরণ সফল হয়নি। হাওয়ার ধাক্কায় বিমানটি উল্টে গিয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের।