পেয়ংইয়ং, ৩ অক্টোবর- উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন বিভিন্ন কঠোর শাসননীতি প্রয়োগ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বিভিন্ন নীতি প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার উপর। এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে উত্তর কোরিয়ায় স্তনের আকার বৃদ্ধি করার অস্ত্রোপচার অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই অস্ত্রোপচার বন্ধ করার উদ্দেশে নতুন পদক্ষেপ নিলেন কিম। তিনি মনে করেন, এই ধরনের অস্ত্রোপচার করার প্রবণতা সমাজতন্ত্র-বিরোধী এবং বুর্জোয়া মানসিকতার প্রতিফলন।
কিম প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, কোনো মহিলা যদি স্তনবৃদ্ধির অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে ধরা পড়েন সেক্ষেত্রে তাঁকে প্রচুর অর্থ জরিমানা হিসাবে দিতে হবে। একইরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ভুরু বা চোখের পাতার অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রেও। স্থানীয় নেতাদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যে আশেপাশের কোনো মহিলার শরীরে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে নজর রাখার। সেরকম কিছু দেখা গেলেই সেই মহিলার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে যে, গত সেপ্টেম্বর মাসে সারিওন শহরে অবৈধ পদ্ধতিতে স্তন বৃদ্ধির অস্ত্রোপচার করতেন এমন একজন চিকিৎসক এবং সেই অস্ত্রোপচার করানো দু’জন মহিলার বিরুদ্ধে একটি শুনানি হয় । বিচারে বলা হয়, যে ওই দুই মহিলা এই ধরনের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন কারণ তাঁরা পুঁজিবাদী মানসিকতার শিকার।
এরপর থেকে এই ধরনের অস্ত্রোপচারের সঙ্গে জড়িত মহিলাদের এবং চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ। টহলদার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এই ধরনের অস্ত্রোপচারের সঙ্গে জড়িত মহিলাদের চিহ্নিত করার জন্য। কোনো মহিলা এই ধরনের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন বা করাতে চাইছেন, এমন সন্দেহ হলে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী দল তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করতে পারে, এমনও জানানো হয়েছে।