বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উত্তেজনা আরও তীব্র হচ্ছে। দেশের ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ বৃহস্পতিবার তাদের নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছে, যেন তাঁরা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘ষড়যন্ত্র’ ও ‘সহযোগীদের কর্মকাণ্ড’-এর বিরুদ্ধে সর্বদা সতর্ক থাকেন।
দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে সরকারের পক্ষ থেকে বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে কেন্দ্র করে, যেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় আগামী ১৭ নভেম্বর ঘোষণার কথা রয়েছে।
বিবৃতিতে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর সহযোগীদের অবৈধ, দখলদারি ও ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামী লীগের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে, নেতাকর্মীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে এবং মিথ্যা মামলার মাধ্যমে ন্যায়বিচারকে উপহাসের পরিণত করেছে।’
দলটির দাবি, দেশের বিভিন্ন জেলায় যে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটছে, তার পেছনে রয়েছে ইউনূস প্রশাসনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদত। আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বারবার এই অবৈধভাবে দখলদারি করা সরকারকে সতর্ক করেছি। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা সংগ্রাম ও আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করতে জানেন। সেই ঐতিহ্য বজায় রেখেই আমরা গণতান্ত্রিক কর্মসূচি নিয়েছি, আর জনগণ ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এখন সরকার ও তার সঙ্গীরা এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাফল্য নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র করছে। তারা নিজেরাই সহিংসতা ও সন্ত্রাস ঘটিয়ে তার দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। আমাদের কর্মীদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে মিথ্যা নাশকতার মামলা দিচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।’
আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে দলটি বলেছে, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে লকডাউন কর্মসূচি পালন করতে হবে। দলের লক্ষ্য, ‘ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে অবৈধ দখলদার ইউনূস সরকারের মিথ্যাচার ও নিপীড়নের অবসান ঘটানো।’