ভোটের আগেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। রাতভর চলে ভাঙচুর ও লুটপাত। সংবাদপত্রে ভাঙচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধানমন্ডিতে সঙ্গীতশিল্পী সন্জীদা খাতুন প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ‘ছায়ানট’-এর সাততলা ভবনের প্রতিটি কক্ষে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ভাঙতে নামানো হয় বুলডোজার। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি-সহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলে লিপ্ত হয়েছে। দুষ্কৃতীদের নির্মম হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি নিহতের ঘটনা সেই তারই বহিঃপ্রকাশ।‘
অন্য দিকে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী শক্তি ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ -ও এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আর্জি জানিয়েছে। দলের নেতা শফিকুর রহমান সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘দেশটা আমাদের সকলেরই অস্তিত্বের অংশ। আশা করি সকলেই সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিবো।‘ শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে ভাঙচুরের ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সংবাদপত্রের অফিসে হামলার নিন্দা করে হাসিনার দল লিখেছে, ‘এই লুট আর হাঙ্গামার রাজত্ব কায়েম করেছে ইউনূস সরকার, এনসিপি আর জঙ্গিগোষ্ঠী।‘