কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে খবর, পহেলগামে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী বা মাস্টারমাইন্ড ছিল সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরি। তার নির্দেশেই পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় গুলি চালায়, প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। এবার তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ নস্যাত করে পাল্টা ভারতকে দুষেছে সইফুল্লা। সইফুল্লার কথায়, ‘সব ভারতের সাজানো নাটক’।
সইফুল্লা লস্করের অন্যতম প্রধান তথা ভরতের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকাভুক্ত হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল। সূত্রের খবর, পাক সেনাবাহিনীতেও যথেষ্ট প্রভাব ছিল তার। পহেলগাম হামলার মাস দুয়েক আগে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের কাঙ্গলপুরে তাকে দেখা গিয়েছিল। সেখানে পাক সেনার একটি বড় ব্যাটেলিয়ন ছিল। ওই ব্যাটেলিয়নে বক্তৃতা করার জন্য সইফুল্লাকে ডেকেছিলেন পাক সেনার কর্নেল জাহিদ জারিন। সেনাকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করতেই নাকি তাকে ডাকা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সইফুল্লার সেই বক্তৃতার বেশির ভাগ অংশ জুড়েই ছিল ভারতবিরোধী বার্তা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালানোর পরামর্শও ছিল সেই বার্তায়।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়াতেও আরও একটি সভার আয়োজন করেছিল পাক সেনা। সেই সভাতেও সইফুল্লা ভারতবিদ্বেষী বক্তৃতা করে। পাশাপাশি, কাশ্মীর দখলের হুঙ্কারও দেয়। এরপরই পহেলগামে হামলা হয় যা সইফুল্লারই মস্তিষ্কপ্রসূত বলই অনুমান গোয়েন্দাদের। গোয়েন্দাদের অনুমান, সইফুল্লাকে সাহায্য করে পাক সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা। এই হামলায় হাত ছিল পাক জঙ্গি সংগঠনগুলিরও।
এদিকে পহেলগামের হামলার পর ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে পাঁচ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি। বুধবার বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আটারি সীমান্ত। পাকিস্তানিদের ভারতে প্রবেশও নিষিদ্ধ করেছে ভারত। পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনারকেও দেশে ফেরানো হবে। ভারতে বর্তমানে যে সব পাকিস্তানিরা রয়েছেন, তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশ সচিব।