রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে ফের পাকিস্তানকে একহাত নিল ভারত। সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল পাকিস্তান। এদিন পাল্টা হিসেবে পাকিস্তানের মুখে কার্যত ঝামা ঘষে দিল ভারত। মহিলাদের অধিকার সুরক্ষার জবাবে ভারত জানায় পূর্ব পাকিস্তানে পাক সেনাবাহিনী সরকারি নির্দেশে, পরিকল্পিতভাবে ৪ লক্ষ মহিলার উপর গণধর্ষণ চালিয়েছিল। ‘পাকিস্তান হল এমন একটি দেশ যারা নিজের দেশের জনগণের উপর বোমা ছোঁড়ে, গণহত্যা চালায়।’ রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের কুকীর্তি তুলে ধরে সরব হল ভারত।
রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনি হরিশ বলেন, প্রতি বছর পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা সমালোচনা করে। এর চেয়ে বেশি দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে না। পাকিস্তান বারবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়টি রাষ্ট্রসঙ্ঘে উত্থাপন করে। পাকিস্তান যে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করেছে সে কথা ঘুণাক্ষরেও উচ্চারণ করে না। পাকিস্তান হল এমন একটি দেশ যারা নিজেদের জনগণের উপর বোমা মারে। গণহত্যা চালায়। আর তা ঢাকতেই বিশ্বের সামনে কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলে।
হরিশ আরও বলেন, ‘পাকিস্তান হল এমন দেশ যারা নিজের দেশের মানুষকে নৃশংসভাবে গণহত্যা করে। ১৯৭১ সালে এরা অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে ৪ লক্ষ মহিলাকে গণধর্ষণ ও হত্যা করেছিল। পাকিস্তানের এই গণহত্যা আজ গোটা বিশ্বের সামনে স্পষ্ট।‘ রাষ্ট্রসঙ্ঘে মহিলাদের ক্ষমতায়ণ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে ভারতের প্রতিনিধি জানান, নারী, শান্তি এবং নিরাপত্তা এজেন্ডায় ভারতের রেকর্ড অনবদ্য। শান্তিরক্ষা বাহিনীতে মহিলা সৈন্যদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ভারতের অন্যতম উদাহরণ ভারতীয় পুলিশ সার্ভিসের প্রথম মহিলা অফিসার ডঃ কিরণ বেদী। ২০০৩ সালে তিনি প্রথম মহিলা পুলিশ উপদেষ্টা এবং জাতিসংঘের পুলিশ বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরি মহিলারা ‘কষ্টের’ মধ্যে আছেন বলে অভিযোগ করেন পাকিস্তানের কূটনীতিবিদ সাইমা সালেম। নারী অধিকার ও সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। সেই রেশ ধরে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাস এবং বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে একাধিক অভিযোগ করেন পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি।