পেশোয়ারে আইইডি বিস্ফোরণে নিহত চার পুলিশকর্মী সহ ৯

ফাইল ছবি।

পাক সেনার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের মধ্যেই পাল্টা হামলা চালাল তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। বৃহস্পতিবার রাতে খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারে পুলিশের একটি টহলদার বাহিনীর কনভয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন চার পুলিশকর্মী। ঘটনায় গুরুতর জখম আরও অন্তত চারজন।

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আফগান সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় পুলিশের একটি টহলদারি গাড়িকে লক্ষ্য করে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি)-এর সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটায় সন্দেহভাজন টিটিপি জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের বাড়িঘরও কেঁপে ওঠে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পেশোয়ারের পুলিশ প্রধান মিয়াঁ সঈদ জানান, ‘পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। আইইডি-র ধরন এবং বিস্ফোরণের কায়দা দেখে মনে হচ্ছে, এর পিছনে টিটিপি-র হাত রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টিটিপি সহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে পাক সেনা। সেনার দাবি, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে শতাধিক বিদ্রোহীকে নিকেশ করা হয়েছে। তবুও টিটিপি-র এই প্রত্যাঘাত স্পষ্ট করে দিল, জঙ্গি নেটওয়ার্ক এখনও সক্রিয় এবং সংঘর্ষের আশঙ্কা এখনও প্রবল।


পাক সরকার ইতিমধ্যেই টিটিপি-কে ‘ফিতনা আল খোয়ারিজ’ এবং বালুচ বিদ্রোহীদের ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ইসলামাবাদের অভিযোগ, আফগানিস্তানের তালিবান শাসনের একাংশ এবং ভারতের মদতেই এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠী নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে টিটিপি-র সঙ্গে শান্তিচুক্তির চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তান। পরিস্থিতি সামাল দিতে বারে বারে সীমান্ত পার করে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে জঙ্গিঘাঁটিতে বিমানহানাও চালিয়েছে পাক বাহিনী। যদিও কাবুলের দাবি, সেই সব হামলায় নিহত হয়েছেন সাধারণ গ্রামবাসীরাই। তবে বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণ প্রমাণ করে দিল, পাক সেনার চাপের মুখেও পিছু হটছে না জঙ্গিরা বরং পেশোয়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে হামলা চালিয়ে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে দিল তারা।