দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসছে ১২০০ টন ইলিশ। বাংলাদেশ সরকার সোমবার ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রকের আদেশে বলা হয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী রপ্তানিকারকেরা। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট সহ বেশ কিছু নথিপত্র জমা দিতে হবে।
দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রতিবছরই ভারতে ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা বেশি। গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রক প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। এবার এর অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হল। গতবার সব মিলিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশে এবার ইলিশের সরবরাহ কম। সেদেশের মানুষও পর্যাপ্ত ইলিশ পাচ্ছেন না এবং দামও বেশি। এসব বিষয় বিবেচনা করেই আগের বছরের তুলনায় কম পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি হয়েছে, তা মোট উৎপাদনের মাত্র শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ।
বাণিজ্য মন্ত্রকের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে সরকার। ইতিমধ্যে যাঁরা রপ্তানির আবেদন করেছেন, তাঁদেরও নতুনভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে।
বেশ কিছু শর্তও দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল – অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি না করা, অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তর না করা প্রভৃতি।